সাড়ে ৯ মাসেও মব ও প্রতিহিংসা বন্ধ করা গেল না কেন?

আমীন আল রশীদ
  ২৮ মে ২০২৫, ১২:২৩


“কেউ মব তৈরি করে বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সেনাবাহিনী।” সেনা সদরের প্রেস ব্রিফিংয়ে যেদিন (সোমবার) এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো, সেদিনই সংবাদমাধ্যমের খবর: হেফাজতে ইসলামের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের পর নরসিংদী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
হেফাজতের আলটিমেটামের মুখে নাদিরা ইয়াসমিনকে বদলির আদেশের সমালোচনা করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “মবের দৌরাত্ম্যে আত্মসমর্পণ করে নাদিরা ইয়াসমিনের বদলির সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
এই পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি প্রশ্নের সুরাহা প্রয়োজন:
১. অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সাড়ে ৯ মাসের বেশি সময় পার হয়েছে। এতদিন পরে এসেও সেনাবাহিনীকে কেন মবের বিরুদ্ধে এরকম হুঁশিয়ারি দিতে হচ্ছে?

২. সাড়ে ৯ মাসেও মব বন্ধ করা গেল না কেন?
৩. এরকম হুঁশিয়ারি আগেও একাধিকবার সরকারের শীর্ষ মহল থেকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও মব ভায়োলেন্স বন্ধ হচ্ছে না কেন?
৪. যারা বিভিন্ন অজুহাত তুলে মব পরিস্থিতি তৈরি করেন, তারা কারা? তারা কি রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী তথা সরকারের উপদেষ্টাদের চেয়েও বেশি শক্তিশালী?
৫. যারা মব তৈরি করছে তাদের মূল উদ্দেশ্য কী? রাজনৈতিক, ব্যক্তিস্বার্থ নাকি অন্য কিছু?
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মব
গত ২৫ মে বিকেলে বগুড়ার এক সাংবাদিকের বাড়িতে যায় বেশ কয়েকজন তরুণ। তারা একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মী। ওই সাংবাদিকের বাবা ও ভাই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ৫ অগাস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়েরকৃত হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় যে অসংখ্য সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে, বগুড়ার ওই সাংবাদিকও সেরকম একটি মামলার আসামি। শোনা যায়, রাজধানী ঢাকার পরেই বগুড়ায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে। খাগড়াছড়িও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলায় বেশ এগিয়ে আছে।
একটি ব্যক্তিগত কাজে ওইদিন বগুড়া শহরে অবস্থান করায় এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপের সুযোগ হয়। তারা বলছিলেন, যেসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা বা হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে, তাদের অনেকেই বিগত সরকারের আমলে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছেন। কেউ কেউ স্থানীয় এমপি বা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকলেও যাদেরকে আসামি করা হয়েছে, তাদের বিরাট অংশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। কিন্তু তারপরও তাদেরকে আসামি করা হয়েছে মূলত দুটি কারণে।
১. গ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানি এবং বর্তমানে স্থানীয়ভাবে শক্তিশালী কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের নেতাকর্মীদের মব এড়াতে তারা পালিয়ে বা আত্মগোপনে রয়েছেন। এই ‍সুযোগে ওই সাংবাদিকরা যেসব সংবাদমাধ্যমের স্থানীয় প্রতিনিধি বা রিপোর্টার, সেসব জায়গা পূরণের জন্য নতুন লোকেরা চেষ্টা করছেন। অর্থাৎ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ জাতীয় মামলার পেছনে প্রধানত ভূমিকা রেখেছেন সাংবাদিকদেরই একটি অংশ—যাতে পুরোনোদের বাদ দিয়ে নতুনরা জায়গা দখল করতে পারেন।
২. মামলায় আসামি করার পরে গ্রেপ্তার ঠেকানোর নামে কিংবা তালিকা থেকে নাম দেওয়া অথবা চার্জশিটে যাতে নাম না থাকে, সেজন্য ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নেওয়া।
গত রোববার বগুড়ার ওই সাংবাদিকের বাসায় গিয়ে স্থানীয় কিছু তরুণ নিজেদেরকে একটি দলের নেতা পরিচয় দিয়ে তিনি বাড়িতে আছেন কিনা জানতে চায়। তখন তার স্ত্রী তিনি বাড়িতে নেই বলার পর তরুণরা তাকে নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখায় এবং মব তৈরির চেষ্টা করে। তারা ওই নারীর কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। এ সময় ওই সাংবাদিকের স্ত্রী স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী একজন সাংবাদিককে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বিষয়টির সাময়িক সুরাহা হয়।
বগুড়ার এই ঘটনাটি একটি ছোট্ট কেইস স্টাডি। সারাদেশের চিত্র মোটামুটি একইরকম। প্রশ্ন হলো, একটি নির্দলীয় সরকার সাড়ে ৯ মাস ধরে দায়িত্ব পালন করছে, অথচ কোনো একটি বা দুটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তো বটেই, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, অন্য কোনো পেশাজীবী এমনকি সাংবাদিকদের সঙ্গেও এই ধরনের আচরণ করছে কীভাবে?
সম্প্রতি সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর একটি সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করাকে কেন্দ্র করে একটি ফেইসবুক পেইজে তিনটি টেলিভিশন চ্যানেলের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে চারজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়। শুধু এই একটি ঘটনা নয়, বরং ৫ অগাস্টের পর থেকে সংবাদমাধ্যমে এরকম আরও অনেকগুলো মবের ঘটনা ঘটেছে। মব সহিংসতা থেকে রক্ষা পেতে দেশের প্রধান দুটি জাতীয় দৈনিকের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীও মোতায়েন করতে হয়েছে—যা দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

সরকার কাকে ভয় পায়?
গত বছরের ৫ অগাস্টের পর সারাদেশে যেসব বাড়িঘর ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পাশাপাশি চাহিদামাফিক চাঁদা না দেওয়াও একটি বড় কারণ। এখনও মব তৈরি করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলার ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হয় বলে শোনা যায়। বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মাঠে থাকার পরেও কী করে এইসব ঘটনা ঘটে এবং সাড়ে ৯ মাস পরেও সেনাবাহিনীকে কেন মবের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিতে হয়? পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীই বা কী করছে?
সরকার চাইলে কোনো একটি দেশে মব ভায়োলেন্স বা এরকম গণসহিংসতা বন্ধে তিন মাসের বেশি সময় লাগে? ওই কারণেই অনেকের মনে এই প্রশ্ন আছে যে, সরকার আদৌ মব বন্ধ করতে চায় কিনা বা মব বন্ধ করার মতো সক্ষমতা তাদের আছে কিনা? যদি সক্ষমতার ঘাটতি থাকে তাহলে সেই ঘাটতি পূরণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে হবে। দলীয় ও সাংগঠনিক পরিচয় তথা জুলাই অভ্যুত্থানে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল বলে সরকার যদি তাদের ব্যাপারে সংবেদনশীল থাকে বা ওই দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকার যদি সঙ্কোচবোধ করে, তাহলে কোনোভাবেই মব বন্ধ হবে না।
শিক্ষক নাদিরা ইয়াসমিন নরসিংদী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি নরসিংদী জেলায় নারী অধিকারকর্মী হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনে ‘বিতর্কিত লেখা’ ছাপানোর অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণের দাবি জানায় হেফাজতে ইসলাম। গত রোববার নরসিংদী সরকারি কলেজ এলাকায় তারা প্রতিবাদ সমাবেশও করে। এর পরদিনই সরকার তার বদলির আদেশ জারি করে। প্রশ্ন হলো, হেফাজতে ইসলামকে সরকার ভয় পায়? সরকার কি মনে করে যে ওই শিক্ষককে বদলি না করলে হেফাজতের নেতাকর্মীরা এমন পরিস্থিতি তৈরি করবেন যা সরকার সামাল দিতে পারবে না? খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এই ইস্যুতে ফেইসবুকে লিখেছেন, “কথার জবাব কথায়, লেখার জবাব লেখায় দিতে হবে। কোনো নিপীড়ন জুলুম চলবে না। এটাই ছিল হাসিনা আমলে আমাদের অন্যতম দাবি। হাসিনা সরকার গেছে কিন্তু পরিস্থিতি একই আছে। বৈষম্যবাদী হেফাজতের লোকজন কথার জবাব কথায়, লেখার জবাব লেখায় দিতে অক্ষম। সেজন্য বলপ্রয়োগ, হুংকার, হুমকি, হামলার পথ ধরে। নারীর কণ্ঠ নারীর সক্রিয়তায় তাদের আতঙ্কের প্রকাশ ঘটে উন্মাদের মতো চিৎকার আর হুমকির মধ্যে। শেখ হাসিনা সরকার চলেছে এদের কথামতো, রাতারাতি পাঠ্যপুস্তক বদলেছে, নারীনীতি তালাবদ্ধ রেখেছে...। এই সরকারও তা-ই করে যাচ্ছে। এটাই পরিবর্তন, এটাই সংস্কার?”মে
মব, সারজিস ও আদালতে আসামির সুরক্ষা
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট যেদিন (২২ মে) খারিজ করে দিলেন হাইকোর্ট, ওইদিন দুপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?”
এদিন দুপুরেই হত্যা মামলাসহ দুই মামলায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজকে আদালতে নেওয়া হলে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী উপেক্ষা করে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে অসংখ্য ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে কিছু লোক। আদালত চত্বরে আসামিকে লক্ষ্য করে এরকম ডিম ও জুতা নিক্ষেপ এমনকি শারীরিকভাবে আক্রমণের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে।
একজন আসামির রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, খোদ আদালত চত্বরে তার ওপর হামলা কোনো সভ্য রাষ্ট্রে কাঙ্ক্ষিত নয়। শুধু তাই নয়, গত ৫ অগাস্টের রাজনেতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন আদালতে এরকম হামলার সঙ্গে কিছু আইনজীবীও যুক্ত বলে জানা গেছে। বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে।
একজন ব্যক্তিকে যে মামলায় গ্রেপ্তার বা আটক করা হলো, তিনি সত্যিই অপরাধী কিনা বা তার অপরাধের মাত্রা কতটুকু, সেটি তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যাচাই করতে হয়। আদালত তথ্য-প্রমাণ ও সাক্ষ্য দেখে রায় দেন। সুতরাং, আইনজীবীদেরই কেউ যদি বিচারের আগে খোদ আদালত চত্বরেই আসামির ওপর হামলা চালান, তাহলে নীতিগতভাবে তিনি আর ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকতে পারেন না। আইনজীবী হিসেবে এটি স্পষ্টতই তার দায়িত্বের খেলাপ। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে একজন শীর্ষ অপরাধীকেও সুরক্ষা দেওয়া। বিচারে তার ‍মৃত্যুদণ্ড হলে সেটিও কার্যকর হতে হয় সকল আইনি প্রক্রিয়া মেনে। কিন্তু আদালত চত্বরে মব সৃষ্টি করে কারও ওপর হামলা বা ডিম ও জুতা নিক্ষেপ একধরনের বিচারবহির্ভূত কাজ—যা সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেড়েছে এবং রাষ্ট্র এই ধরনের ঘটনা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হচ্ছে অথবা প্রতিহত করছে না।

আসা যাক সারজিস আলমের প্রসঙ্গে। তিনি লিখেছন, “মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?” খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন যে, গত ৫ অগাস্ট থেকে সারাদেশে যে মব ভায়োলেন্স চলছে, সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টি বা তারা জুলাই অভ্যুত্থান করেছিলেন যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে, বিভিন্ন মব সৃষ্টির পেছনে এই সংগঠনগুলোর কি কোনো দায় নেই? ইশরাকের শপথ ইস্যুতে আদালতের রায়কে তারা ‘মব’ বলছেন, অথচ সাম্প্রতিক মাসগুলোয় এমন অনেক মব ভায়োলেন্সের ঘটনা ঘটেছে, যার দায় তারা এড়াতে পারেন না।
স্মরণ করা যেতে পারে, মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিভিন্ন সময়ে হুঁশিয়ার করেছেন। এমনকি অপরাধ দমনে যখন ‘অপারশেন ডেভিল হান্ট’ শুরু হলো, তখন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি গোষ্ঠীকে ‘মব ডেভিল’ আখ্যা দিয়ে তাদের সতর্ক করার পরে তিনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণে তথা বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। একপর্যায়ে তাকে দুঃখপ্রকাশ করে আরেকটি পোস্ট দিতে হয়েছে। প্রশ্ন হলো, ‘মব ডেভিলরা’ সরকারের চেয়েও বেশি শক্তিশালী?
সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম