অজুতে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কি জরুরি?

নতুনধারা
  ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৫২

অজুর ফরজ কাজ চারটি। পুরো চেহারা ধোয়া, উভয় হাত কুনুইসহ ধোয়া, এক চতুর্থাংশ মাথা মাসাহ করা এবং উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধোয়া। অজুর এ চারটি ফরজের কথা কোরআনে এসেছে। আল্লাহ বলেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡهَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাজের জন্য উঠবে, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসাহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। (সুরা মায়েদা: ৬)
অজুতে তারতিব বা ধারাবাহিকতা রক্ষা করা অর্থাৎ প্রথমে মুখ, এরপর হাত ধোয়া অতপর মাথা মাসাহ করা এবং সবশেষে পা ধোয়া সুন্নত, ফরজ নয়। ধারাবাহিকতা রক্ষা না করেও চেহারা, কনুইসহ হাত, টাখনুসহ পা ধৌত করলে এবং এক চতুর্থাংশ মাথা মাসাহ করলে অজু হয়ে যাবে। পুনরায় অজু করতে হবে না।
তাই অজুর সময় কারো যদি হাত বা চেহারার কোনো অংশ শুকনো থেকে যায়, অজু শেষ করার পর সেটা চোখে পড়লে শুধু ওইটুকু জায়গা ধুয়ে ফেললেই হবে। নতুন করে অজু করতে হবে না।

রাসুল (সা.) যেভাবে অজু করতেন:
মুহাম্মদ ইবনুুস সাব্বাহ (রহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ ইবনে আসিম আনসারি (রা.) যিনি আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহচর্য লাভ করেছিলেন তাকে একদিন বলা হল, আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মতো অজু করে আমাদের দেখিয়ে দিন। তখন তিনি পানির পাত্র আনালেন। তারপর তা থেকে দুই হাতের উপর পানি ঢেলে উভয় হাত তিনবার ধুলেন, তারপর পাত্রে হাত ঢুকিয়ে পানি নিয়ে কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন একই আজলা দিয়ে। এ রকম তিনবার করলেন। আবার পানিতে হাত ঢুকিয়ে পানি নিয়ে আবার মুখমণ্ডল ধুলেন। তারপর দুই হাত কনুই পর্যন্ত দুইবার করে ধুলেন। তারপর পাত্রে হাত ঢুকিয়ে বের করে উভয় হাত দ্বারা মাথার সম্মুখ ভাগ থেকে পেছন দিক এবং পেছনের দিক থেকে সামনের দিক মাসাহ করলেন। তিনি উভয় হাত মাথার সম্মুখভাগের ঐ স্থানে ফিরিয়ে আনলেন যেখান থেকে মাসাহ শুরু করেছিলেন। অবশেষে উভয় পা ধুলেন। তারপর উভয় হাত মাথার সম্মুখভাগের ওই স্থানে ফিরিয়ে আনলেন যেখান থেকে মাসাহ শুরু করেছিলেন। অবশেষে উভয় পা ধুলেন। এরপর বললেন, এ রকমই ছিল আল্লাহর রাসুলের (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অজু। (সহিহ মুসলিম: ২৩৫)