বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাম্প্রতিক সময়টা বেশ খারাপ। এক কথায় বলা যায়, শনির দশায় পেয়েছে। হোক তা টি-টোয়েন্টি কিংবা টেস্ট। দুই ফরম্যাটেই ব্যর্থতা সঙ্গী হয়ে আছে বাংলাদেশের।
টেস্টে ভারতের মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজে চরমভাবে পর্যুদস্ত হওয়ার পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও নাকাল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শেষ চার টেস্টে টানা হার। লড়াইটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও দিনকাল ভালো কাটছে না। শেষ ৬ ম্যাচে ভারতের কাছে ৪ বার (তিন ম্যাচের সিরিজসহ) আর অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একবার করে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা।
একমাত্র ওয়ানডেতেই খানিক মুখ রক্ষা। পুরো বছরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়। এছাড়া টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রীতিমতো হারের বৃত্তে আটকা টিম বাংলাদেশ।
এখন দেখার বিষয়, আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে কী অবস্থা হয়?
বেশ কিছু দিন টানা টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট খেলার পর এবার ওয়ানডে সিরিজ। প্রতিপক্ষ প্রায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠা আফগানিস্তান। আগামী ৬ নভেম্বর থেকে আরব আমিরাতের শারজায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু শান্ত বাহিনীর।
অন্য ফরম্যাটে হারের ঘানি টানা টাইগাররা কি এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? ওয়ানডে সিরিজে নিজেদের পূর্ব সাফল্য মনে করিয়ে দিতে পারবে? নাকি একদিনের খেলাতেও টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির প্রভাব পড়বে? সেটাই দেখার।
বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য তাওহিদ হৃদয় মনে করেন, যে ফরম্যাটেই হোক, আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলাটা সব সময়ই চ্যালেঞ্জের।
ডানহাতি টাইগার ব্যাটারের অনুভব, আফগানিস্তান মানেই চ্যালেঞ্জ। প্রতিপক্ষ হিসেবে আফগানিস্তান সব সময়ই কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। ব্যাটিংয়ের তুলনায় আফগানদের বোলিং ডিপার্টমেন্ট; বিশেষ করে স্পিন বোলিং সবসময়ই দলটির শক্তির জায়গা। তাই বলে আফগানদের নিয়ে বাড়তি চিন্তা ও শঙ্কার কিছু দেখছেন না হৃদয়।
হৃদয় বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিটা দলই শক্তিশালী। প্রতিটা দেশে তাদের সেরা ক্রিকেটাররাই খেলে। এগুলো নিয়ে বেশি চিন্তার কিছু নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে হলে এই চ্যালেঞ্জটা নিতেই হবে। প্রতিপক্ষে কারা আছে, তাদের নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করবো। সেভাবে আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে হৃদয় বলেন, ‘আশা করি ভালোভাবে শুরু করতে পারবো।’
টেস্ট ও টি টোয়েন্টির তুলনায় বাংলাদেশ বরাবরই ওয়ানডেতে ভালো খেলে। টাইগারদের ওয়ানডে পরিসংখ্যানও তুলনামূলক ভালো।
সে কথা মনে করিয়ে হৃদয় বলেন, ‘আমরা ওয়ানডেতে ভালো খেলে থাকি। এবারও অবশ্যই ভালোভাবে শুরু করতে চাই। আমাদের যে সামর্থ্য আছে, সে অনুযায়ী যদি খেলতে পারি, ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ্।’