নির্বাসন থেকে ফিরে আবারও নেতা বনে গেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। বিগ ব্যাশের লিগের (বিবিএল) আগামী মৌসুমে সিডনি থান্ডারকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। নিষেধাজ্ঞার আগেও সিডনির অধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নার। ৬ বছর পর পুনরায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নেতৃত্ব হাতে পেলেন বাঁহাতি ওপেনার।
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে বল বিকৃতিতে অভিযুক্ত হয়েছিলেন ওয়ার্নার। এরপর অসি ব্যাটারকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। একই সঙ্গে নির্বাসিত করা হয়েছিল স্টিভ স্মিথ এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টকেও। পরে ওয়ার্নারের থেকে আজীবনের জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়।
সেই সময় নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ওয়ার্নার আর কোনোদিন অস্ট্রেলিয়ার কোনও দলের অধিনায়ক হতে পারবেন না। দীর্ঘ ৬ বছর পর অবশেষে গেল অক্টোবর মাসে বাঁহাতি ব্যাটারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহা করে নেয় বোর্ড।
জানিয়ে দেওয়া হয়, এখন থেকে ওয়ার্নারের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা নেই। সে প্রেক্ষিতে নিজের সাবেক দলের কোচ হলেন ওয়ার্নার।
অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দল ও স্থানীয় দলগুলোর জন্য নিষিদ্ধ হলেও দেশের বাইরে অধিনায়ক হতে কোনো অসুবিধা ছিল না ওয়ার্নারের। যে কারণে নির্বাসনে থাকাকালীন সময়েও আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক হয়েছিলেন অসি তারকা।
বিবিএলের গত দুই মৌসুমে সিডনিতে নিয়মিত খেলতে পারেননি ওয়ার্নার। দুই মৌসুম মিলিয়ে মাত্র ৮ ম্যাচ খেলেন এই মারকুটে ব্যাটার। জাতীয় দলের শিডিউল থাকার কারণে বিবিএলে খেলতে পারতেন না তিনি। তবে এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় ওয়ার্নারকে পুরো মৌসুমের জজন্য দলে পাবে সিডনি। সেই কারণেই ফের তাকে নেতৃত্বে ফেরায় থান্ডার।
ওয়ার্নারের অনুপস্থিতিতে সিডনিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্রিস গ্রিন। এবারও সিডনির স্কোয়াডে আছেন গ্রিন। তবে আগামী মৌসুমে সিডনির জার্সি গায়ে তিনি শুধু অলরাউন্ডার হিসেবে মাঠে নামবেন।