তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত পরবর্তী চার মাস বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান প্রশিক্ষক ফিল সিমন্সের প্রধান সহাকারী হিসেবে কাজ করবেন মোহাম্মদ সালাউদ্দীন।
সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই কোচ আলোচিত, আলোড়িত, নিন্দিত ও নন্দিত তারকা সাকিব আল হাসানের খুব কাছের এবং সাকিবের মেন্টর বলেও পরিচিত। বিভিন্ন সময় সাকিব তার অধীনে একা ট্রেনিংও করেছেন।
এর মধ্যে ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল খেলার সময় সাকিব মোহাম্মদ সালাউদ্দীনকে হায়দরাবাদ নিয়ে যান তার ব্যক্তিগত অনুশীলন করানোর জন্য।
জাতীয় দলের সাথেও এর আগে কাজ করেছেন সালাউদ্দীন; কিন্তু এবার তিনি জাতীয় দলের প্রধান সহকারী কোচ। আসলে তার কাজটা কি হবে? তিনি কি রুপে কাজ করবেন? কাজের ধরন ও প্রকৃতিই বা কেমন হবে?
এসব নিয়ে রাজ্যের কৌতুহল ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে। অবশেষে আজ ১০ নভেম্বর সালাউদ্দীন নিজেই সে প্রশ্নের উত্তর দিলেন। রোববার দুপুরে শেরে বাংলায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে সালাউদ্দীন অনেক কথার ভিড়ে জানিয়ে দিলেন, আসলে তিনি প্রধান কোচ ও ক্রিকেটারদের সহায়তা করার কাজটিই করবেন।
সালাউদ্দীন জানান, ‘আমি সহকারি কোচ, আমার মনে হয় যে যেহেতু হেড কোচ আছেন এখানে। তার দর্শনটা আমাকে বুঝতে হবে। সে কিভাবে টিমটা চালাচ্ছে, তা জেনে ও বুঝে তাকে সাহায্য করা। এর সঙ্গে যতুটুকু পারি খেলোয়াড়দের সাহায্য করাও হবে আমার কাজ।’
সালাউদ্দীনের ধারনা, তার এবারের ভূমিকাটা আগেরবারের তুলনায় হয়তো ভিন্ন হবে। তার কথায় পরিষ্কার, তিনি দেশের ক্রিকেটারদের আত্ববিশ্বাস বাড়ানোর কাজে সচেষ্ট থাকবেন এবং ভিনদেশি কোচিং স্টাফদের সাথে স্থানীয় ক্রিকেটারদের যোগাযোগ ও কথা-বার্তাটা যেন আরও সহজ হয়, সেদিকেও লক্ষ্য থাকবে তার।
বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশের বেশির ভাগ বিদেশি কোচ ইংলিশ, অস্ট্রেলিয়ান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকান। তাদের নিজ নিজ একসেন্টের ইংরেজি বোঝাও সহজ কাজ নয়। শ্রুতি আছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অনেকেরই সে সব বিদেশি কোচদের কথা-বার্তা বুঝতে সমস্যা হয়। তাদের সাথে কথা বলা ও নিজের ভুলত্রুটি নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করাও অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন হয়ে পড়ে।
সালাউদ্দীনের কথায় পরিষ্কার, তিনি সেই কাজটা খুব আন্তরিকতার সাথে করতে প্রস্তুত। তাই মুখে এমন কথা, ‘চেষ্টা করবো আমাদের ছেলেরা যেন আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হয়। সে সঙ্গে আমাদের যে বিদেশি কোচরা আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগটা যেন আরেকটু ভালো হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবো।’
তিনি পেশাদার কোচ। কোথায় কাজ করছেন, তার চেয়ে বড় কথা হলো তিনি কোচিং করাচ্ছেন। জাতীয় দলের সাথে কাজ করতে গিয়ে সালাউদ্দীন সামর্থ্যের ১১০ পারসেন্ট দিতে মুখিয়ে। তার কথা, ‘আমার আসলে বেসিক্যালি অনুভূতি খুব কম। অনুভুতি হয় না। কারণ এটা আমার পেশা। আমি যে জার্সিতেই থাকি, সেটাতে পুরোটা দেওয়াই হচ্ছে আমার কাজ। আমি যেন ১১০ পার্সেন্ট দিতে পারি এবং আমি আমার সেরাটা যেন দিতে পারি। আমি যেহেতু পেশাদার কোচ, যেখানে কাজ করবো সেখানেই আমার পুরোটা দিতে হবে।’
‘অনূভূতি তো অবশ্যই থাকবে। হয়তো বাসায় (লোকজনের মধ্যে) রোমাঞ্চটা একটু বেশি। চেষ্টা করবো যেন মানুষ আমাকে ভালোবাসছে; আমি দেখলাম শেষ কিছুদিনে, সেটার প্রতিদান দেওয়াও নৈতিক দায়িত্ব হয়ে গেছে।’