টম ক্রুজের নাম রিহানা, টেলর সুইফট, বা কাইলি জেনারের মতো বিলিওনিয়ারের তালিকায় থাকা উচিত। তবে সায়েন্টোলজির প্রতি আনুগত্যের জন্য তিনি এই ক্লাবে নাম লেখাতে পারেননি।
সায়েন্টোলজি একটি ধর্মীয় আন্দোলন যা ১৯৫৪ সালে রোন হাবার্ড প্রতিষ্ঠা করেন। এটি মানুষের আত্মার উন্নতি এবং সচেতনতার বৃদ্ধি সম্পর্কে একটি দর্শন ও প্র্যাকটিসের সমন্বয়। সায়েন্টোলজি দাবি করে যে, মানুষ একটি অবিনশ্বর আত্মা (থেটান) যা বর্তমান জীবন এবং পূর্ববর্তী জীবনের সব অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাদের মতে, এই আত্মাকে মুক্ত করার জন্য সায়েন্টোলজি প্র্যাকটিস ও শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়।
তবে এটি একটি খুবই বিতর্কিত ধর্মীয় আন্দোলন। অনেকেই মনে করেন যে এটি একটি ধর্মীয় ব্যবসা যার মাধ্যমে
সংস্থাটি তাদের সদস্যদের থেকে অর্থ আদায় করে থাকে। টম ক্রুজও মোটা অংকের অনুদান দিয়ে থাকেন।
ইনটাচ উইকলিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, টমের সিনেমা ক্যারিয়ারের এতগুলো হিট ও বড় বড় সাফল্যের পরও তার অর্থনৈতিক অবস্থা এখনো বিঘ্নিত। তার সায়েন্টোলজির প্রতি আনুগত্য এবং নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে কথিত ওই ধর্মযুদ্ধে জড়িত হওয়ার কারণে পরিস্থিতি এমন হয়েছে।
‘মিশন: ইম্পসিবল ২’ এবং ‘ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস’ সিনেমায় ১০০ মিলিয়ন ডলার করে প্রতিটিতে আয় করেছিলেন টম ক্রুজ। তিনি মোট ৪৪টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এবং প্রযোজক হিসেবে কাজও করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত, তার মোট উপার্জন ছিল প্রায় ৭৪৫ মিলিয়ন ডলার। এমন বিশাল পরিমাণ অর্থ থাকা সত্ত্বেও ক্রুজ বিলিওনিয়ারের ক্লাবে জায়গা পাননি।
২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার। তবে, আশ্চর্যজনকভাবে, ক্রুজের জীবনযাপন একদমই বিলিওনিয়ারের মতো নয়।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, টমের সাফল্যের কারণে তার বহু কোটি টাকা থাকার কথা ছিল। ‘টম প্রতি সিনেমায় ২০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করছেন। কিন্তু তার আয়ের বেশিরভাগই কোথায় যাচ্ছে সে সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন উঠতে পারে। এটা স্পষ্ট যে সায়েন্টোলজি তার জনপ্রিয়তার সুবিধা নিচ্ছে। কিন্তু টম নিজে তেমন কোনো আর্থিক লাভ পাচ্ছেন না। এতে ধর্মরক্ষাও হচ্ছে না,’ -সূত্রটি যোগ করেছে।