এক বছর আগে মালদ্বীপের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। একটি হয়েছে মালেতে অন্যটি ঢাকার কিংস অ্যারেনায়। এবার সেই মালদ্বীপের বিপক্ষে এই মাসে আবারও দুটি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে লাল-সবুজরা। তবে বিশ্বকাপ বাছাই নয়, এবার হচ্ছে ফিফা প্রীতি ম্যাচ। কিংস অ্যারেনার ম্যাচ দুটির টিকিট নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা সমালোচনা চলছে।
এবার টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ৮০০,৫০০ ও ৩০০ টাকা। গতবার সেটা ছিল ২০০,৩০০ ও ৫০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া সৌজন্য টিকিটের মূল্যও ছিল ৩০০০ টাকা।
টিকিটের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খেলার পেজগুলোতে সমালোচনা চলছে। এমনিতে কিংস অ্যারেনা ঢাকার এক কোণে। যাতায়াতও তেমন সুবিধার নয়। এটাও উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার চলায় কিংস অ্যারেনা ছাড়া আর কোনও বিকল্পও নেই। এছাড়া গত ১৬ বছরে বাফুফে পারেনি নিজস্ব কোনও স্টেডিয়ামও তৈরি করতে। ঢাকার বাইরে সিলেট বা অন্য কোনও স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনে বাফুফের অনীহা তো আছেই। তাই ভরসা কিংস অ্যারেনা।
কিংস অ্যারেনার আসন সংখ্যা ৭ হাজারের মতো। এই মাঠের টিকিটের মূল্য নিয়ে তাজিম উদ্দিন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘খেলার মান অনুযায়ী টিকিটের দাম বেশি। আগে দর্শকদের মন জয় করার মতো খেলতে হবে,তারপর হাজার টাকা টিকিট হলেও লোকে খেলা দেখবে।’
নিয়মিত ফুটবল মাঠে গিয়ে খেলা দেখেন বাদল খান। তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে টিকিটের দাম বেশি। এমনিতে দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি। এছাড়া সাধারণ মানুষ নানান সমস্যায় আছে। এখন খেলাটা একধরনের বিনোদন। অন্তত টিকিটের মূল্য কম থাকলে ভালো হতো।’
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতিতে টিকিটের দাম যৌক্তিক মনে করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘এবার আমরা কোনও সৌজন্য টিকিট দিচ্ছি না। খেলা দেখতে হলে ব্যাংক থেকে টিকিট কেটে আসতে হবে। এবার টিকিটের দাম যা রাখা হয়েছে তা ঠিক আছে। যা বাড়ানো হয়েছে অযৌক্তিক কিছু নয়। একজনের সিনেমা দেখতে হলে যেমন খরচ হয় তেমনই খেলার জন্য হবে। এটাও তো এক ধরনের বিনোদন। আমি যা শুনেছি টিকিটের চাহিদা রয়েছে।’
দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৩ ও ১৬ নভেম্বর। ম্যাচের টিকিট বিক্রি হচ্ছে সোশ্যাল ইসলামি ও সাউথ ইস্ট ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখায়।