জয়ের জন্য ২২৯ রানের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কালাম সিদ্দিকির ব্যাটে জয়ের দিকে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতা সহজ জয় আর পাওয়া হলো না বাংলাদেশের যুবা ক্রিকেটারদের। ৪৯.৩ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয়ে গেলো যুব ক্রিকেটাররা। ফলে মাত্র ৭ রানে হেরে যেতে হলো বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয়ের কারণে ‘বি’ গ্রুপে রানারআপ হয়েই সেমিতে খেলতে যেতে হচ্ছে আজিজুল হাকিমের দলকে। সেমিতে বাংলাদেশ কাকে পাচ্ছে, তা অবশ্য এখনও নিশ্চিত হয়নি।
২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার এবং কালাম সিদ্দিকি মিলে ৫২ রানের জুটি গড়েন ৯.৩ ওভারে। এ সময় ২২ বলে ২৪ রান করে আউট হন জাওয়াবদ আবরার। এরপরই আজিজুল হাকিম (৮) এবং মোহাম্মদ শিহাব জেমস (৬) দ্রুত ফিরে গেলে কিছুটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশের যুবারা।
এরপরই কালাম সিদ্দিকি ও দেবাশিষ দেবার ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় জুনিয়র টাইগাররা। ৩ উইকেটে ৯৮ রান থেকে এই জুটি ১৭২ পর্যন্ত নিয়ে যায় বাংলাদেশের স্কোর। দলীয় ১৭২ রানের মাথায় কালাম সিদ্দিকি আউট হন ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে। সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতে (৯৫ রানে) সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
এরপর মাঠে নেমেই আউট হয়ে যান রিজান হানান। কোনো রানই করতে পারলেন না তিনি। ৫২ বলে ৩১ রান করে আউট হন দেবাশিস দেবা। ১৮৭ রানের মাথায় আউট হন তিনি।
ফরিদ হাসান এবং সাইমুন বশির মিলে চেষ্টা করেন বাংলাদেশকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে। কিন্তু বিগ শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন সাইমুন বশির। পরের ব্যাটাররা কাঙ্খিত মানের ব্যাটিংই করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৩ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে ২২৮ রান করে শ্রীলঙ্কা। বিমাথ দিনসারা ১৩২ বলে করেন ১০৬ রান।