১৬ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৮৬ রান। শেষ ৪ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ১ উইকেটে ৪২ রান। যার অবদান শামীম হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিবের। জাকের আলীর আউটের পর অষ্টম উইকেটে ৪১ রানের অপরাজিত জুটি করেন তারা। তবে বেশি অংশে অবদান শামীমেরই।
শামীমের শেষের লড়াইয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মান বাঁচানো পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ১২৯ রান করেছে টাইগাররা। সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ১৩০ রান।
আজ বুধবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বরাবরেরই মতোই ব্যর্থ হন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১ বলে ০ রানে আউট হওয়ার আজ ফেরেছেন ১০ বলে ৩ রান করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ আকিল হোসেইনকে ডাইন দ্য উইকেটে মারতে এসে টার্নিং বলটি মিস করেন লিটন। মোটেই ভুল করেননি উইকেটরক্ষক আন্দ্রে ফ্লেচার। বল গ্লাভসে জমা করে দ্রুত গতিতে স্টাম্প ভেঙে দেন তিনি। এরপর বৃষ্টির কারণে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল।
পুনরায় খেলা শুরু হলে লিটনের মতো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ হন তানজিদ হাসান তামিম। ৪ বলে ২ রান করে রস্টন চেজের বলে বোল্ড হন ব্যাটিংঅর্ডার পরিবর্তন করে এক ধাপ নিচে তিনে নামা বাঁহাতি ব্যাটার।
তৃতীয় উইকেটে ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকার। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে না পারায় চাপ তৈরি হয় তাদের ওপর। এক পর্যায়ে ঝুঁকি নিয়ে রান নিয়ে গিয়ে আউট হন সৌম্য (১৮ বলে ১১)।
দুবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ (২৫ বলে ২৬)। আলজারি জোসেফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগ অঞ্চলে ক্যাচ হন তিনি।
একটি চার হাঁকিয়েই ক্যারিবীয় স্পিনার গুদাকেশ মোতির বলে বোল্ড হয়ে যান রিশাদ হোসেন (৪ বলে ৫)। ১২তম ওভারের খেলা চলাকালীন আবারও বৃষ্টি হানা দেয়।
খেলা শুরু হলে ১১ বলে ১১ রান করে মোতির বলে বোল্ড হন শেখ মেহেদী। ২০ বলে ২১ রান করে ওবেদ ম্যাকয়ের বলে লং অনে রভম্যান পাওয়েলের হাতে ক্যাচ হন জাকের আলী। তারপরই শামীমের সেই দুর্দান্ত ইনিংস। ১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটার। বহুল প্রয়োজনীয় ইনিংসটি তিনি সাজান ২ চার ও ২ ছক্কায়। ১১ বলে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তানজিম সাকিব।