এমন এক সময় ছিল যখন ওয়েস্ট ইন্জিজ ক্রিকেট দলকে দেখে সবাই ভয়ে কাঁপত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের আরও একটা জিনিস দেখার মতো ছিল। সেটা ক্রিকেটারদের লাইফস্টাইল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিকাংশ ক্রিকেটারই বিতর্কিত লাইফস্টাইল ভালোবাসেন। তেমনই একজন ক্রিকেটার হলেন টিনো বেস্ট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের এই সাবেক পেসার তথা গেইল, ব্র্যাভো এবং পোলার্ডের এই সতীর্থ ২০১৬ সালে আত্মজীবনী 'মাইন্ড দ্য উইন্ডোজ : মাই স্টোরি' প্রকাশ করেছিলেন। সেখানেই তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রায় ৬৫০ নারীর শয্যা সঙ্গী হয়েছিলেন তিনি। আর সেকারণেই তিনি নিজেকে 'ব্ল্যাক ব্র্যাড পিট' বলেও উল্লেখ করেন। পাশাপাশি নিজেকে বিশ্বের সবথেকে সুন্দর ন্যাড়া মাথার পুরুষ বলেও সম্বোধন করেন।
তিনি লিখেছিলেন, আমি নারীদের ভালোবাসি। তারা আমাকে ভালোবাসে। আমি নিজেকে বিশ্বের সবথেকে সুন্দর ন্যাড়া মাথার পুরুষ বলেও মনে করি। আমাকে অনেকেই মজা করে ব্ল্যাক ব্র্যাড পিট বলে থাকেন। সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছিলেন, তিনি নারীদের সঙ্গে ডেট করতে এবং শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে ভালোবাসেন। ইতিমধ্যেই ৫০০ থেকে ৬৫০ নারীর সঙ্গে তিনি শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেছেন।
সবশেষে বেস্ট জানান, নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করা কিংবা তাদের সঙ্গে ডেট করতে গেলেও, সেটার প্রভাব কোনওদিনও খেলার উপরে পড়তে দেননি। তিনি স্বীকার করেছেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রাতে কী হয়েছে সেই সবের কোনও প্রভাব তার উপর থাকে না। টিনো বেস্টের দাবি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলে তার থেকে কঠোর অনুশীলন আর কেউ করতে পারে না।
টিম ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিনি শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৪ সালে। দেশের হয়ে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে খেলেছেন টিনো বেস্ট। এর মধ্যে ২৫টি টেস্ট, ২৩টি একদিনের ম্যাচ ও ৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে বরাবরই মাঠের বাইরের বিভিন্ন কাণ্ড নিয়ে তিনি আলোচনায় থাকতেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল যথেষ্ট কঠিন সময় পার করছে। চলতি বছর তারা একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। এমনকি, গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপেও তাদের দেখা যায়নি।