বিপিএলের এক একটা আসর যেন এক একটা বিতর্কের ঢেউ নিয়ে আসে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতাসহ নানা অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে এই আসরেও।
বিসিবি সেসব অস্বীকার করছে না। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর যেমন টালমাটাল অবস্থা ছিল, প্রস্তুতির সময় পাওয়া যায়নি। তাতে বিপিএল যে এবার আয়োজন করা গেছে, এটাকে ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছে বিসিবি।
বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘বিপিএল আয়োজনের প্রস্তুতির জন্য যতটা সময় প্রয়োজন ছিল, আমাদের হাতে ছিল না। সবারই এটা মানতে হবে। একেবারে শুরুতে আদৌ আমরা করতে পারব কি না, তা নিয়েও শঙ্কা ছিল। শেষ পর্যন্ত করা গেছে, এটা এক দিক থেকে ভালো। তবে করতে গিয়ে যতটা প্রস্তুতি দরকার ছিল বা খুঁটিনাটি জিনিস দেখা দরকার ছিল সেটা আমরা করতে পারিনি। সেই ব্যর্থতা আমাদের। তবে যেই সময়ে আমাদের টুর্নামেন্টটা করতে হয়েছে, আশা করি সেটাও সবাই মনে রাখবেন। তবে আমাদের ব্যর্থতা তো আছেই। এড়ানোর সুযোগ নেই।’
পরেরবার আরও চিন্তাভাবনা করে এগোনো হবে, আশ্বাস দিয়ে বিসিবি পরিচালক বলেন, ‘আমরা এরপর থেকে খুব চিন্তাভাবনা করে একটা পেশাদার কাঠামো আনার চেষ্টা করব। শুধু করার জন্য করা নয়। আয়ের ভালো একটা পথ হতে পারে বিপিএল। দেশের ক্রিকেটের উন্নতির ভালো সুযোগ হতে পারে। সব কিছু বিচার-বিবেচনা করেই এটা করব। তবে অনেক দূরের পথ। তখন আমি থাকব কি না, সেটাও নিশ্চিত নই। তবে আমি যতদিন থাকব, এটাই চেষ্টা থাকবে যেন বিপিএল একটা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে যায়।’