ভুটানের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। সেটা ভুটানের মাটিতে। এবার ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সেই হারের প্রতিশোধ নিলো দেশের ফুটবলের তীর্থভূমি হিসেবে পরিচিত ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে। নতুন সাজে তৈরি হওয়া এই স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলাদেশ ২-০ গোল হারিয়েছে ভুটানকে।
আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে ভুটানের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। জয়ে দারুণ প্রস্তুতিই হলোা ক্যাবরেরার দলের।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের কোচ বলেছিলেন, হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের শক্তি বাড়িয়েছে। হামজা ৪৫ মিনিটে খেলেছেন। কাজের কাজটি তিনি করেছেন ৬ মিনিটের মধ্যে গোল করে দলকে লিড এনে দেওয়ায়। জাতীয় দলের জার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচেই গোল করলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় গোলটি করেছেন সিনিয়র সোহেল রানা। ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহামিদুল ইসলামকে কিছু সময় খেলাবেন বলেছিলেন কোচ। তাকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত খেলিয়েছেন কোচ। প্রথম দিন ফাহামিদুল নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠ বাংলাদেশের অনেক ফুটবলারের জন্যই নতুন। বহুদিন পর এই মাঠে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ হতাশ করেনি। প্রাধান্য বিস্তার করেই বাংলাদেশ প্রত্যাশিতভাবে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে।
আগামীকাল ফুটবরারদের রিকভারি। পরের দিন থেকে নেমে পড়বেন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের অনুশীলনে। কানাডা প্রবাসী শামিত সোম যোগ হবেন ওই অনুশীলনে। শামিত ছাড়া বাকি ২৫ জনই ছিলেন ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোয়াডে। কোচ ৫ জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করে পরখ করেছেন।
বিরতির পর কোচ মাঠে নামিয়েছেন ডিফেন্ডার শাকিল আহামদ তপু, মিডফিল্ডার রিদয়, শেখ মোরসালিন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে।
বাংলাদেশ একাদশ
মিতুল মারমা (গোলরক্ষক), তাজউদ্দিন, সাদ উদ্দিন, সোহেল রানা, ফাহামিদুল, জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মন, রাকিব হোসেন, কাজেম শাহ, তারিক কাজী, হামজা চৌধুরী।