বাবার সঙ্গে স্বপ্ন দেখেছিলেন যে, বয়স ২৫ পেরোনোর আগেই দুটি গ্র্যান্ডস্ল্যামের মালিক হবেন। আরিনা সাবালেঙ্কা ঠিকই সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
আগামী ৫ মে ২৬-এ পা রাখবেন তিনি। এর আগেই ক্যারিয়ারে দুটি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতে ফেলেছেন বেলারুশ কন্যা। কিন্তু তার স্বপ্নপূরণের মুহূর্তটি দেখে যেতে পারেননি বাবা।
চার বছর আগেই বাবাকে হারান সাবালেঙ্কা। তখন তার বয়স ছিল ২১ বছর। ২৪-এ পা রাখার পরও শিরোপা না জেতার হতাশা কুঁকড়ে খাচ্ছিল তাকে। তবে সেই হতাশা খুব বেশিদিন থাকেনি। গত বছর এলিনা রিবাকিনাকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের রানির মুকুট পরেন তিনি। সেই শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখেন এবারও। ফাইনালে ৭৬ মিনিটের লড়াইয়ে ৬-৩, ৬-২ গেমে উড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষ জেং কিনওয়েনকে। তাতে ২০১৩ সালের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুইবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের কীর্তি গড়েন।
টেনিসে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের পর বিখ্যাত কোনো স্থান বা জায়গায় ফটোশুটে অংশ নেন চ্যাম্পিয়নরা। সাবালেঙ্কার ক্ষেত্রেও ব্যতয়। সাদা জামা পরে ট্রফি নিয়ে মেলবোর্নের কার্লটন গার্ডেনসে শুভ্রতা ছড়িয়েছেন তিনি। ছবিগুলো মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়।
স্বপ্ন পূরণের পর বাবাকে স্মরণ করে সাবালেঙ্কা বলেন, 'এমন একটি সময় ছিল, যখন বিশ্বাস করিনি একদিন আমিও গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতব। বিশেষ করে ওই সময়ে, যখন সার্ভই ঠিকঠাক মতো করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। মন বলছিল, যা করছি, সেটাই করে যেতে হবে। স্বপ্নের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে এবং মনের ভেতর বিশ্বাস রাখতে হবে। '
'বাবা আমাকে দেখছেন এবং আমাকে নিয়ে খুবই গর্বিত। তিনিই আমার কাছে সবকিছু, আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তিনি সবসময় আমার পাশে আছেন। আমার জন্য যা করেছেন, সবকিছুর জন্য আমি খুবই কৃতজ্ঞ। আমি মনে করি, তিনি না থাকলে আজ আমি এখানে থাকতে পারতাম না। তবে এখন আমার সঙ্গে মা এবং বোন আছে, তাদের কথাও ভাবতে হবে। '
দুটো গ্র্যান্ডস্ল্যামের মধ্যে কোনটি জেতা কঠিন ছিল? এমন প্রশ্নে ২৫ বছর বয়সী সাবালেঙ্কা বলেন, 'প্রথমটা খুবই কঠিন ছিল। প্রথম ফাইনাল খেলা আমার জন্য সত্যিই আবেগের এবং লড়াইটাও বেশ কঠিন ছিল। দ্বিতীয়টাও কঠিন। ভিন্ন চাপ ও আবেগ ছিল এতে। কিন্তু দুটোর মধ্যে বলতে হয়। তাহলে আমি মনে করি প্রথমটাই বেশি কঠিন ছিল। তবে এবারের লড়াইটাও সহজ ছিল না। '