আরও আগে ভারতের নারী ফুটবল লিগে খেলার ডাক পেয়েছিল বাংলাদেশের ফুটবলাররা। কিন্তু তখন নাকি বাফুফে হতে সাড়া পাওয়া যায়নি, কলকাতা থেকে এমন কথা জানিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তখন খেলোয়াড়দের অনুমতি দেওয়া হলে সানজিদা, সাবিনার মতো বাংলাদেশের আরও একাধিক ফুটবলার ভারতীয় লিগে খেলার ডাক পেতেন।
আক্ষেপ করলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ম্যানেজার ইন্দ্রানী সরকার। তিনি জানিয়েছেন গত বছরও নারী ফুটবলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আগ্রহ দেখায়নি। যখনই যোগাযোগ করা হয়েছিল তখনও প্রত্যাখ্যান করা হয়। ইন্দ্রানী সরকার বলেন, ‘তোমাদের ওখানে (বাফুফে) একজন বিদেশি আছেন উনি খেলতে দেননি। উনার অনুমিত ছাড়া তোমাদের মেয়েরা কোথাও খেলতে যেতে পারবে না। সে কারণে সানজিদারা ভারতের লিগে গত সিজনে খেলতে পারেনি।’
ইন্দ্রানী সরকার পল স্মলির কথা বলতে চাইছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মেয়েদের ফুটবল দেখাশোনা করেন একজন বিদেশি, তার কথা বলছি। উনি এখন নেই, চলে গেছেন। তাকে আমরা আগেও বলেছি বাংলাদেশ থেকে মেয়েরা খেলতে চাইলে আমরা সুযোগ দেব। কিন্তু ঐ লোকটি রাজি না হওয়ায় আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম।’ ইন্দ্রানী সরকারের কথায় স্পষ্ট, পল স্মলির কথাই বলতে চাইছেন তিনি। ইন্দ্রানী বললেন, ‘কোনো ফুটবলার চাইলে উনি নানা ব্যস্ততার কথা বলতেন। আমরা পছন্দের ফুটবলারটিকে পেতাম না।’
সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশের একাধিক ফুটবলারের বিদেশে খেলার ডাক আসার কথা শোনা গেলেও একমাত্র সাবিনা খাতুন ভারতে খেলতে গিয়েছিলেন। ভারতের নারী লিগে বিদেশি খেলোয়াড়ের কোটা একটা। সেই কোটায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলছেন সানজিদা আক্তার। এই ক্লাবে আর কোনো বিদেশি ফুটবলারকে নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানালেন ইন্দ্রানী সরকার।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দুই সদস্য সাবিনা খাতুন ও সানজিদা আক্তার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোটা একটা, সানজিদাকে নিয়ে আমরা ভালো আছি। আমরা সানজিদাকে ছাড়া আর কাউকে চাই না।’ ইন্দ্রানী বলেন, ‘আমাদের খেলা আছেই মাত্র তিনটে। এখন আর বিদেশি খেলোয়াড় এনে কি করব বাপু। এবার আর হবে না। আগামীতে নিলেও সানজিদা আমাদের কাছে প্রথম পছন্দ।’