শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমে ক্যারিয়ারসেরা ৮৪ রানের ইনিংসে দলকে জেতালেন। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতলেন রায়ান পরাগ। আইপিএলের গত আসরে ৮ ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৭৮ রান করেছিলেন ভারতীয় এই ব্যাটার। তবুও এবার তার ওপর আস্থা রাখে রাজস্থান রয়্যালস। দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রতিদানও দিচ্ছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো তার ৪৫ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটিই রয়্যালসকে জয়ের মঞ্চে বসিয়ে দেয়।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তৃপ্ত শোনালো রায়ানকে। বিশেষ করে মায়ের সামনে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে পেরে যারপরনাই খুশি রাজস্থান রয়্যালসের এই তরুণতুর্কি। তবে রায়ান জানালেন, ম্যাচের আগে টানা তিন দিন তিনি বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেননি। পেইন-কিলার খেতে হচ্ছিল তাকে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে কোনো রকমে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। অর্থাৎ দিল্লি ম্যাচের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতিই নিতে পারেননি রায়ান। অসুস্থতা সত্ত্বেও মাঠে নেমে চমকে দেওয়া ইনিংস উপহার দেন পরাগ।
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিয়ে রায়ান বলেন, ‘আবেগ এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। মা এখানে উপস্থিত রয়েছেন। উনি দেখেছেন গত ৩-৪ বছরে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে। আমি জানি আমার ক্ষমতা কতটা। ভালো খেলি বা খারাপ, নিজের সম্পর্কে আমার ধারণা বদলায় না। তা ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট এক্ষেত্রে আমাকে ভালো খেলতে সাহায্য করেছে। গত ঘরোয়া মৌসুমে অনেক রান করেছি।’
দিল্লি ম্যাচ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রথম চারের কাউকে ২০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে হতো। গত ম্যাচে সঞ্জু ভাই সেটা করে। পিচে বল থমকাচ্ছিল এবং বল নিচুও হচ্ছিল। আমি অনেক খেটেছি। গত তিনদিন আমি বিছানা ছেড়ে উঠতে পারিনি। পেইন কিলার খেতে হচ্ছিল আমাকে। আজকেই সুস্থ হই এবং এমন ইনিংস খেলতে পারায় দারুণ লাগছে।’
গতকাল (বৃহস্পতিবার) জয়পুরে ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান। কিছুটা জটিল উইকেটে নির্ধারিত ওভার শেষে তারা ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে। রানতাড়ায় জিততে হলে শেষ দুই ওভারে দিল্লির দরকার ছিল ৩২ রান। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই রান কঠিন কিছু নয়। ১৯তম ওভারে সন্দীপ শর্মাকে পিটিয়ে ১৫ রান নেন ত্রিস্তান স্টাবস। ফলে শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। শেষ ওভার করা আবেশ খান দেন মাত্র ৪ রান, যা ১২ রানের জয় এনে দেয় স্বাগতিকদের।