টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষেই নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র

স্পোর্টস ডেস্ক
  ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৩

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ঘনিয়ে আসায় ইতিবাচক শিরোনামই হওয়ার কথা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঘিরে। কিন্তু নেতিবাচক কারণে শিরোনামে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজকের দলটির ক্রিকেট বোর্ড।
২০২৪ বিশ্বকাপ শুরুর আগে অব্যবস্থাপনার কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ড (ইউএসএসসি)। বোর্ডটির অব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক এবং প্যারা অলিম্পিক কমিটি (ইউএসওপিসি)। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি ক্ষুব্ধ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, আইসিসির পূর্ণ সদস্যের অনেককেই নাকি যুক্তরাষ্ট্রকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে। আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপ শুরু হবে বলে এখনই তাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না আইসিসি। ২৯ জুন টুর্নামেন্ট শেষেই সিদ্ধান্ত নেবে আইসিসি।
যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক এবং প্যারা অলিম্পিক কমিটির ক্ষুব্ধের কারণ হচ্ছে, দৈনন্দিন কার্যক্রমে বোর্ডের পরিচালকেরা হস্তক্ষেপ করে। সর্বশেষ যার বলি হয়েছেন, বোর্ডটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. নুর মুরাদ। চুক্তির মেয়াদ ৬ মাস থাকলেও তাঁকে সরিয়ে দিয়েছেন বোর্ডের পরিচালকেরা। মেয়াদ থাকায় আইসিসি পরে পুনর্বহাল করার কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা কমিটি তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। বোর্ডটির এমন আচরণে তাই তাদের নিষিদ্ধ করার পক্ষে পূর্ণ সদস্যের অনেক দলই।
মুরাদের আগে ইউএসএসি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন উন্নয়ন কর্মকর্তা জিমি পল লয়েড, নারী ক্রিকেটের সমন্বয়ক জুলি অ্যাবোট এবং স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ বার্ট ককলিও।
যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে এক সূত্র বলেছে, ‘তাঁরা মনে করে প্রতিদিনের কার্যক্রমে তাঁদের জড়িত থাকতে হবে। যখন এটা করতে যাওয়া হয় তখন ব্যক্তিগত কিছু বিষয় চলে আসে। যে কারণে ক্রিকেটের উন্নয়ন হচ্ছে না। তাঁরা নির্দিষ্ট এক পদের জন্য নির্বাচিত হতে প্রচুর অর্থ খরচ করেন। এ কারণেই সব কার্যক্রমে জড়ানো নিজেদের অধিকার মনে করেন তাঁরা। তাঁরা বুঝতে চান না বোর্ড কেমন হওয়া উচিত। আর বোর্ড এবং প্রশাসনের মধ্যে যে একটা দূরত্ব থাকে সেটা বোঝার চেষ্টা করে না তাঁরা।’