ফ্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে গিয়ে বেশ কয়েকবার আইসিসির নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ডেভন থমাসের উপর। সেই সব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় আইসিসি থেকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন থমাস।
২ মে (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতি দিয়ে টমাসের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। সব মিলিয়ে থমাসের সাতটি অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে আইসিসি।
বিবৃতিতে আইসিসির ইন্টেগ্রিটি ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার সুবাদে অনেক দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন টমাস। তিনি জানতেন দুর্নীতিবিরোধী ধারা অনুসারে আবশ্যকীয়ভাবে কী কী পালনীয়।
কিন্তু তিনটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সেটা তিনি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই নিষেধাজ্ঞা খেলোয়াড় এবং দুর্নীতিবাজদের জন্য এই বার্তাটা বহন করবে যে আমাদের খেলায় এটি কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হয়।
মোট তিনটি লিগের আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় থমাসের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে ক্যান্ডি ওয়ারিয়র্সের হয়ে একটি ম্যাচই খেলেছিলেন থমাস। সেখানে ম্যাচ পাতানোর চেষ্টার দায়ে তার বিরুদ্ধে এসএলসি আইনের চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আয়োজিত ২০২১ টি-টেন টুর্নামেন্টে জুয়াড়ির তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় আরেকটি অভিযোগ গঠন করা হয় তার বিরুদ্ধে। আর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ২০২১ ও ২০২২ সালের দুটি ঘটনায় যোগ হয় আরও দুটি অভিযোগ।
তার পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা গণনা হবে ২০২৩ সালের ২৩ মে সাময়িক নিষিদ্ধ ঘোষণার দিন থেকেই। তবে নিষেধাজ্ঞার শেষ ১৮ মাস স্থগিত থাকবে। যার অর্থ, ২০২৬ সালের নভেম্বরে খেলায় ফিরতে পারবেন থমাস।