ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সাকিব আল হাসানের ব্যাট আর বলের পারফর্ম্যান্সে ধারাবাহিকতা আর ভারসাম্য যেন চলছে হাত ধরাধরি করে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ৩ উইকেট নিতে পারলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হবেন সাকিব।
৪৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব। শুধু বাংলাদেশরই নন, ৪৭ উইকেট নেওয়া সাকিব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
সব ঠিক থাকলে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন সাকিব। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়ার কথা সাকিবেরই। কারণ শীর্ষ ৫ উইকেট শিকারির বাকি সবাই অবসর নিয়েছেন। বিশ্বকাপে খেলবেন, এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, তার উইকেট ৩১টি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় এবারের বিশ্বকাপে সাকিব খেললে নতুন আরেকটি কীর্তি গড়বেন তিনি। ২০০৭ থেকে ২০২৪-সব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা দুই ক্রিকেটারের একজন হবেন সাকিব। তালিকার অপর নামটি ভারতের রোহিত শর্মার।
রোহিতের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচও খেলেছেন সাকিব। সাকিবের ৩৬ ম্যাচের বিপরীতে রোহিত এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। দু’জনই সমানসংখ্যক বিশ্বকাপ খেললেও রোহিতের ম্যাচ খেলার পরিমাণ স্বাভাবিকভাবেই বেশি। রোহিতের ভারত ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়াও ফাইনাল খেলেছে ২০১৪ সালে। এবারের বিশ্বকাপে দেখা যাবে, এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব, রোহিতের পর সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলেছেন ডেভিড ওয়ার্নার-৩৪টি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষ দশে আছেন সাকিব। অষ্টম স্থানে থাকা সাকিব ৩৬ ইনিংসে ২৩.৯৩ গড় আর ১২২ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৭৪২। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান এসেছে ভারতের বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। ২৫ ইনিংসে তার রান ১১৪১। তার গড় ৮১.৫০, স্ট্রাইক রেট ১৩১.৩০। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা রোহিতের ব্যাট থেকে এসেছে ৯৬৩ রান।