প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর। যেখানে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আজ (মঙ্গলবার) মুখোমুখি হবে ফ্রান্স-স্পেন। মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় প্রথম সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। মজার বিষয়– ইউরোতে এই দুই দলের মুখোমুখি দেখায় বিজয়ী দলই হয় চ্যাম্পিয়ন। এর আগে তিনবার এমনটা দেখা গেছে। সবমিলিয়ে অবশ্য দু’দলের পরিসংখ্যানে এগিয়ে স্প্যানিশরা।
পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোর নকআউটে ফ্রান্স-স্পেন ম্যাচে বিজয়ী দল টুর্নামেন্ট শেষে শিরোপা উৎসব করে। দুই দল নকআউটে মুখোমুখি হওয়ার পর ১৯৮৪ ইউরোতে ফ্রান্স, ২০০০ সালে ফ্রান্স এবং ২০১২ সালে স্পেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এমনকি ইউরোতে দুই দলের দ্বৈরথে নকআউটে ফ্রান্সই এগিয়ে, এর মধ্যে স্মরণীয় ১৯৮৪ আসরের ফাইনাল। সেই ম্যাচে মিচেল প্লাতিনির দল স্প্যানিশদের ২-০ গোলে হারায়।
বাকি দুইবার দুই দলের দেখা হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। ২০০০ সালে ফ্রান্স ২-১ গোলে জয়ের পর ফাইনালে একই ব্যবধানে হারায় ইতালিকে। এরপর তারা ২০১২ সালে ২-০ গোলে হেরে যায় স্পেনের কাছে, পরে স্প্যানিশরা ফাইনালে উঠে হারায় একই প্রতিপক্ষ ইতালিকে। ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন।
বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেও স্পেনের চেয়ে এগিয়ে ফ্রান্স। তবে সবমিলিয়ে পরিসংখ্যানে দাপট স্প্যানিশদের, এখন পর্যন্ত দুই দল মোট ৩৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে স্প্যানিশদের ১৬ জয়ের বিপরীতে ফরাসিদের জয় ১৩ ম্যাচে। বাকি ৭টি ম্যাচ ড্রতে নিষ্পত্তি হয়েছে। দুই দলের অতীত দেখায় সবচেয়ে বেশি গোল করেছে স্পেন, তাদের ৬৪টি গোলের বিপরীতে ৩৯টি গোল করেছে ফরাসিরা।
তবে পরিসংখ্যান যে কথাই বলুক না কেন, মাঠের খেলায়ই নির্ধারিত হবে জয়-পরাজয়। যেখানে স্পেন তরুণ আর অভিজ্ঞ তারকায় ঠাসা ফরাসিরা। তাদের আক্রমণভাবে কিলিয়ান এমবাপে-ডেম্বেলে, গ্রিজম্যান-কামাভিঙ্গাদের মতো ফুটবলার থাকতেও অবশ্য প্লে ওপেনে এখন পর্যন্ত একটিও গোল পায়নি। কেবল একটি গোল নিজেদের অবদানে এসেছে, তাও এমবাপের করা গোলটি ছিল পেনাল্টিতে। এর আগে বেলজিয়াম ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ফরাসিরা আত্মঘাতী গোলে জিতেছিল। শেষ ষোলোতে তারা পর্তুগালকে হারায় টাইব্রেকারে।
অন্যদিকে, দুর্দান্ত ফর্মে আছে লামিনে ইয়ামাল, নিকো উইলিয়ামস ও আলভারো মোরাতাদের দিয়ে গঠিত স্পেনের তরুণ আক্রমণভাগ। লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল এবারের ইউরোতে এখন পর্যন্ত হওয়া পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে। জার্মানির বিপক্ষে তাদের ম্যাচটি ছিল চরম হাড্ডাহাড্ডি, কোয়ার্টার ফাইনালেই যা একটু ভুগতে হয়েছে স্প্যানিশদের। যদিও ঠিকই তারা ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়ে সেমিতে পা রাখে। তবে আজকের ম্যাচে দুশ্চিন্তার বিষয় বেশ কয়েকজন তারকাকে না পাওয়া। হলুদ কার্ডের কারণে খেলতে পারছেন দানি কারভাহাল ও নরম্যান্ড, ইনজুরিতে পুরো ইউরো শেষ পেদ্রির।