পরপর দুই বড় আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। বিদায়ের ধরণটা আবার একই টাইব্রেকে হেরে। ২০২২ সালে টাইব্রেকে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় সেলেসাওরা। এবার কোপা আমেরিকায় উরুগুয়ের কাছে সেই টাইব্রেকেই হার পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
বিদায় নিলেও লাতিন আমেরিকার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরের ফাইনালে ঠিকই থাকছে ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার ফাইনালে ব্রাজিলের রেফারি
শাস্তির মুখে উরুগুরের দশ ফুটবলার!
এবারের কোপার ফাইনালে রেফারি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করবেন ব্রাজিলের রাফায়েল ক্লাউস। এক বিবৃতিতে এ কথা নিশ্চিত করেছে লাতিন আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল)।
এ সময় সংস্থাটি আরও জানায় ক্লাউসের সহকারীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আরও দুই ব্রাজিলিয়ান রেফারি রদ্রিগো কোরেয়া ও ব্রুনো পিরেস।
ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আরেক ব্রাজিলিয়ান রডোলফো টস্কি। সহকারী ভিএআর রেফারি থাকবেন ব্রাজিলেরই দানিলো মানিস।
চতুর্থ ও পঞ্চম রেফারি হিসেবে থাকবেন প্যারাগুয়ের দুই রেফারি এদুয়ার্দো কারদোজা এবং জুয়ান বেনিতেজ। ২০১৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করছেন মূল রেফারির দায়িত্ব পাওয়া ক্লাউস।
তাকে বলা হয় দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল অন্যতম সেরা ম্যাচ অফিশিয়াল হিসেবে সুনাম রয়েছে ৪৪ বছর বয়সী এ রেফারির। কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া এবারের কোপাতেও ম্যাচ পরিচালনা করেছেন ক্লাউস।
কলম্বিয়ার তিনটি ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। এই তিন ম্যাচে তাদের ফল হচ্ছে এক জয়, এক ড্র আর এক পরাজয়। এর মধ্যে একটি ম্যাচ আবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। এই তিন ম্যাচে কলম্বিয়ার ফুটবলাররা ৯টি হলুদ কার্ড দেখেন। তবে নেই কোনো লাল কার্ড।
এর আগে গত কোপার তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। সে ম্যাচে পেরুকে ৩-২ গোলে হারায় কলম্বিয়া। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কলম্বিয়ার সর্বশেষ হার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে (১-০ গোলে)। সে ম্যাচের রেফারি ছিলেন ক্লাউস।
এরপর থেকে টানা ২৮ ম্যাচে হারের মুখ দেখেনি কলম্বিয়ার। এর অর্থ হচ্ছে কলম্বিয়ার সর্বশেষ হারের ম্যাচে রেফারি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনার তিনটি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন ক্লাউস। এতে কোনো হারের রেকর্ড নেই। দুটিতে জয় আর একটি ম্যাচ ড্র করে মেসিরা।
আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের মোট আটবার হলুদ কার্ড দেখালোও কাউকে লাল কার্ড দেখাননি ক্লাউস।