মাত্র কয়েকদিন আগেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছিলেন জার্মানির অধিনায়ক ইলকায় গুন্দোয়ান। এবার ক্যারিয়ারের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। বার্সেলোনায় মাত্র এক মৌসুম কাটিয়ে আবার ম্যানচেস্টার সিটিতে ফিরে এলেন তিনি।
আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেজ ম্যানসিটি ছেড়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেয়ায় শূন্যস্থানটা পূরণ প্রয়োজন ছিল পেপ গার্দিওলার। সে জায়গায় দ্রুত গুন্দোয়ানের ফিরে আসাটা দারুণ এক সুখবর সিটি কোচের জন্য।
শুধু ফিরে আসাই নয়, আজই (শনিবার) ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইপসউইচের বিপক্ষে সিটিজেনদের হয়ে খেলতেও পারেন তিনি। সিটির সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করলেন তিনি। আরও এক বছর বাড়িয়ে নেয়ার অপশন রাখা হয়েছে।
বার্সার জন্যও গুন্দোয়ানকে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। কারণ, ফাইনান্সিয়াল যে বাধ্যবাধকতা, তাতে নতুন চুক্তি করা দানি ওলমোকে মাঠে নামানোই কঠিন হয়ে যাচ্ছিলো। সে জায়গায় গুন্দোয়ানকে ছেড়ে দেয়ার ফলে দানি ওলমোকে খেলাতে আর কোনো বাধা থাকলো না।
গুন্দোয়ানকে পুরোপুরি ফ্রি‘ই পেয়ে গেলো ম্যানসিটি। বার্সার সঙ্গে ২ বছরের চুক্তি থাকলেও এক বছর খেলেই ন্যু ক্যাম্প ছাড়লেন এই জার্মান তারকা। ইউরোপিয়ান মিডিয়াগুলো বলছে, বার্সেলোনার মিসম্যানেজমেন্টের ফলেই গুন্দোয়ানের মত ফুটবলারকে পুরোপুরি ফ্রি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে তারা।
২০১৬ সালে পেপ গার্দিওলা বায়ার্ন মিউনিখ থেকে ম্যানসিটিতে আসার পর তার প্রথম সাইনিং ছিলেন গুন্দোয়ান। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে চার বছরের চুক্তিতে ম্যানসিটিতে আসেন তিনি। যদিও খেলেছেন ৭ মৌসুম। এ মেয়াদে সিটিতে পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগসহ চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছেন গুন্দোয়ান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জযে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
কোচ পেপ গার্দিওলা নিজেই অবাক, ফ্রি-তে গুন্দোয়ানের মত ফুটবলারকে ফিরে পাওয়ায়। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন এই অবাক হওয়ার বিষয়টি। তিনি বলেন, `অনেক ম্যানেজারই ট্রান্সফার উইন্ডোগুলোতে বলে থাকেন, যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। আক্ষরিক অর্থে এটাই হলো তার প্রমাণ। এটা সত্যিই অবাককরা এবং অবিশ্বাস্য একটি বিষয়।‘