২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তখন মনে হয়েছিল, দ্রততম সময়ে অলআউটের আরও একটি লজ্জাজনক রেকর্ড করবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিন্তু সেটি হতে দিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস। ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে টেনে তুললেন তারা।
সপ্তম উইকেটে ৪৯ রানের জুটি করেছেন মিরাজ-লিটন। এরপর মধ্যাহ্নভোজে গেছেন দুই ডানহাতি। বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৭৫ রান। মিরাজ ৩৩ রানে আর লিটন ১৩ রানে অপরাজিত আছেন।
আজ রোববার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতেই চোখে ঝাপসা দেখে বাংলাদেশ। পাকিস্তানি পেসারদের বল যেন চোখেই দেখছিলেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে খেলা শুরু বাংলাদেশ ২০ রান করতেই হারায় ৪ উইকেট।
শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। প্রথমে উইকেট বিলিয়ে দেন ওপেনার জাকির হাসান। আগের দিন ০ রানে অপরাজিত থাকা জাকির আজ মাঠে নেমে করেছেন মাত্র ১ রান।
এক ওভার পর সাজঘরের পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও। খুররম শাহজাদের বলে আউট হওয়ার আগে ২৩ বলে ১০ রান করেন তিনি। এরপর উইকেট বিলিয়ে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ওই ওভারেই শান্তকে (৬ বলে ৪) বোল্ড করেন খুররম।
পরের ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন মুুমিনুল হক। মীর হামজার বলে মোহাম্মদ আলির হাতে ক্যাচ হন তিনি। ২ বলে ১ রান করেন মুমিনুল।
হুড়মুড় করে ভেঙে পড়া বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপকে স্থির করতে পারলেন না মুশফিকুর রহিমও। মিস্টার ডিপেন্ডেবল হিসেবে খ্যাত মুশফিক আজ ফিরে গেলেন দ্রুতই। মীর হামজার বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হওয়ার আগে ৯ বলে মাত্র ৩ রান করতে পেরেছেন তিনি।
হাল ধরতে পারলেন না সাকিব আল হাসানও। ১০ বলে ২ রান করে খুররম শেহজাদের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের বিদায়ে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।