পেসারদের লড়াইকে সুস্থ প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখছেন এবাদত

স্পোর্টস ডেস্ক
  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৫

কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ স্পিনার নির্ভর ছিল। এখন সেখানে প্রভাব বিস্তার করছেন পেসাররা। তাদের ইতিবাচক লড়াইয়ের মধ্যেও স্পিনাররাও ভালো করছেন। বাংলাদেশে যে পেস বিপ্লব শুরু হয়েছিল কয়েক বছর ধরে তার ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে নিজেদের মধ্যে হচ্ছে তুমুল লড়াই। এই বিষয়টিকে সুস্থ প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখছেন পেসার এবাদত হোসেন। 
চোটের কারণে প্রায় ১৪ মাস ধরে তিনি মাঠের বাইরে রয়েছেন এবাদত। গতকাল মিরপুরে এসে বাংলাদেশের পেস বিপ্লব নিয়ে কথা বলেছেন ডানহাতি এই পেসার। তিনি বলেছেন, 'গত তিন থেকে সাড়ে তিন বছর ধরে পেসাররা কর্তৃত্ব দেখিয়ে আসছেন। এটার পেছনে কোচদের অনেক অবদান আছে। আর পেসাররা যারা রয়েছেন তারা খুবই কষ্ট করেছেন। সেটি সকলেই দেখেছেন। সেটির সুবিধা আমরা পেতে শুরু করেছি ২০২২ সাল থেকে। আমরা চাই, পেসাররা যেন এই ধারা ধরে রাখতে পারেন এবং আরও বেশি সাফল্য দেশের জন্য বয়ে আনতে পারেন।' 
তিনি আরও বলেছেন, 'অনেক সুস্থ একটা প্রতিযোগিতা মনে হয়। আমি চাই, এমন পেসার আরও ৭ জন থাকবে। তখন আমার নিজের ভালো করার তাগিদ থাকবে। তাসকিন বাংলাদেশের সেরা বোলার। মোস্তাফিজ ওয়ান অব দ্য বেস্ট কাটার মাস্টার। বিশ্বে ওর মতো কাটার কেউ মারতে পারে না। নাহিদ রানা এখন বাংলাদেশের দ্রুততম বোলার। তানজিম সাকিব খুবই ভালো অবস্থায় আছে। এই যে একটা প্রতিযোগিতা, আমি চাই এটা সব জায়গায় থাকুক। তাহলে আমাদের উন্নতি এমনিতেই হবে। এখন আমাদের সবার খেলার ধরণ বদলেছে।' 
নিজের বিষয়ে এবাদত বলেছেন, 'আফসোস হয়। ১৩ মাস হয়ে গেল আমি খেলতে পারছি না। এমন একটা ইনজুরিতে পড়েছি যে, ঠিক হতে অনেক লম্বা সময় লাগছে। খেলোয়াড় হিসেবে এতদিন মাঠের বাইরে থাকা অনেক কষ্টের। তবে মনে হয় না, বেশি দিন লাগবে সুস্থ হতে। আমিও খেলব। ভালো করার চেষ্টা করব।' 
পাকিস্তান সিরিজে না থাকতে পারলেও ভারত সিরিজ নিয়ে আশাবাদী এই পেসার। সবকিছু ঠিক থাকলে মাঠের লড়াইয়েও তাকে দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়ে বলেছেন, 'আমাকে ফিজিও, ট্রেনার ও বোলিং কোচ যে প্রোগ্রাম দিয়েছেন, সেটা অনুসরণ করছি। তারা আমাকে শতভাগ সামর্থ্য দিয়ে বোলিং করার অনুমতি দেননি। আমি ৭০-৮০ শতাংশের কাছাকাছি সামর্থ্য দিয়ে কাজ করছি। আমাকে হয়তো ভারত সফরে দলের সঙ্গে নেওয়া হবে। সেখানে বোলিং সাপোর্টটা পাব, ডাক্তার, ফিজিও, ট্রেনারদের সব সাপোর্ট পাব। বিশেষ করে বাংলাদেশ দলের মনিটরিংয়ে থাকব। সেখানে গিয়ে আমার ফিটনেস পরীক্ষা করে দেখবে, এরপর সিদ্ধান্ত নেবে।'