বার বার ইউএস ওপেনে নারী এককের শিরোপার লড়াইয়ে খুব কাছে গিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে বেলারুশ টেনিস সুন্দরী আরিনা সাবালেঙ্কাকে। সবশেষ গেল বছর এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের কোকো গাফের বিপক্ষে হেরে রানার-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। তবে এবার আর ব্যর্থ হননি ২৬ বছর বয়সী এই টেনিস সুন্দরী।
জমজমাট লড়াইয়ে প্রথম বারের মতো ইউএস ওপেনের ফাইনালে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস সুন্দরী জেসিকা পেগুলাকে দুই সেটে ৭-৫, ৭-৫ গেমে হারিয়ে নিজের প্রথম ইউএস ওপেনের শিরোপা ও ক্যারিয়ারের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি নিশ্চিত করেন সাবালেঙ্কা। গত পরশু অনুষ্ঠিত হওয়া নারী এককের এই ফাইনালের সমীকরণ এমন ছিল যে, শিরোপা যার হাতেই উঠুক টুর্নামেন্ট পাবে নতুন বিজয়ী। নতুন বিজয়ী দেখতে গ্যালারিও ছিল তারকায় ঠাসা।
আর সবাইকে পয়সা উসুল ফাইনালও উপহার দিয়েছে সাবালেঙ্কা ও পেগুলা। ম্যাচে পেগুলার শেষ শটটি যখন লাইনের বাইরে গিয়ে পরে তা দেখে সঙ্গে সঙ্গে কোটে লুটিয়ে পড়েন সাবালেঙ্কা। দুহাতে মুখ ঢাকলেন। সেভাবেই পড়ে রইলেন বেশ কিছুক্ষণ। হয়তো বেলারুশ সুন্দরী তখনো নিজেকে বিশ্বাস করাতে পারেননি যে, তিনি পেরেছেন ফাইনাল জিততে। সময় নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন একটু পর, দেখা গেল অশ্রু ঝরছে তার গাল বেয়ে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলানো শেষে দর্শকদের দিকে হাত উঁচিয়ে দম নিলেন লম্বা করে। পুরো স্টেডিয়াম তাকিয়ে একবার দেখলেন হয়তো মনে করতে চেষ্টা করলেন গত কয়েক বছরে এই কোর্টে কতবার হতাশা তার সঙ্গী হয়েছিল। তারপর দৌড়ে গেলেন গ্যালারিতে। সেখানে উপস্থিত থাকা তার সাপোর্ট স্টাফের কাছে গিয়ে সবাইকে শক্ত করে জড়ালেন আলিঙ্গন করে কাঁদলেন।
শিরোপা যখন সাবালেঙ্কার হাতে তুলে দেওয়া হলো-সেসময় তিনি জানালেন, এই ট্রফিটি তিনি কত করে চাইতেন অর্জন করতে। তিনি বলেন, 'সব সময় স্বপ্ন দেখতাম এই সুন্দর ট্রফিটা জেতার। অবশেষে জিততে পারলাম। ভীষণ গর্বিত মনে হচ্ছে।' গত বছর রানার্স আপ এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালের সেমিফাইনালিস্ট এই টেনিস সুন্দরী আরও বলেন, 'আমি অতীতের সেই কঠিন হারের কথা স্মরণ করছি এবং এটা হয়তো অনেকটা নাটকীয় শোনাবে, তবে বলতে পারি যে, স্বপ্নের পেছনে ছোটায় কখনো হাল ছাড়বেন না, চেষ্টা করে যান।'
ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, 'আমি এই মুহূর্তে নির্বাক। এটা সব সময় আমার স্বপ্ন ছিল এবং আমি শেষ পর্যন্ত সুন্দর এই ট্রফিটি জিততে পেরেছি। আপনি যদি কোনো কিছুর জন্য কঠিন পরিশ্রম করেন এবং সবকিছু উৎসর্গ করে দেন, একদিন সেটা আপনার মিলবেই। আমি নিজেকে নিয়ে দারুণ গর্বিত। আমি কখনো এই কথা বলিনি, তবে আমি সত্যিই নিজেকে নিয়ে দারুণভাবে গর্বিত। আমি আমার দলকে নিয়েও গর্বিত।'