রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবিন্দ্র জাদেজা ভারতকে টেনে তুলেছেন নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে। আর সবার মত ওই দুই ভারতীয় স্পিনারের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে ওই দুই ভারতীয়র ব্যাটিংকে কৃতিত্ব দিলেও নিজ দলের বোলারদের সেভাবে সমালোচনা করেননি তিনি।
তার ব্যাখ্যা, ‘আমাদের বোলাররা সাধ্যমত চেষ্টা করেছে। ১৪৬ রানে ভারতের ৬ উইকেট ফেলে দেয়া কম নয়। হাসান মাহমুদ দারুন বল করে ভারতের টপ ও মিডল অর্ডারে ধ্বস নামিয়েছে; কিন্তু দুই স্পিনার সাকিব ও মিরাজ প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যাকআপ করতে পারেননি।’
তার ভাষায়, ‘আমাদের সাকিব ও মিরাজ তাদের মানে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের সাথে ২ টেস্টে মিরাজ ও সাকিব যে বোলিংটা করেছে, যেমন প্রয়োজনের সময় ব্রেক থ্রু উপহার দিয়েছে, আজ চেন্নাইতে দু’জনার কেউই সে ভূমিকা নিতে পারেনি। সাকিব কাউন্টি ক্রিকেটে যে দারুন বোলিং করেছে, চেন্নাইতে আজ অন্তত তার ছিটিফোটাও দেখাতে পারেনি। মিরাজও পাকিস্তানের যেমন বোলিং করেছে , তার কিছুই দেখা যায়নি আজ। তারপরও আমাদের সুযোগ ছিল। রবিন্দ্র জাদেজা একটি লেগবিফোর উইকেটের আবেদন থেকে বেঁচে গেছে। আর অশ্বিনের ক্যাচ স্লিপ ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে চলে গেছে।’
দিন শেষে বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে? আশরাফুলের মূল্যায়ন, ‘এখন ভারত পুরো সুবিধাজনক অবস্থায়। প্রথমদিন শেষে আমার চোখে ভারতীয়রা এখন চালকের আসনে। কাল নতুন বলে কিছু একটা করতে না পারলে ভিন্ন কথা। এ অবস্থায় ভারতীয়দের স্কোর আরও বড় হবে। এখান থেকে ৪০০’র নিচে আটকে রাখা কঠিন হবে।’
আমার মনে হয় রানটা বেশি হয়ে গেছে। যদিও উইকেটে এখনো পেসারদের হেল্প আছে। ভারতকে কত রানের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারলে বাংলাদেশ ম্যাচে থাকবে? আশরাফুলের ব্যাখ্যা, সব কিছু নির্ভর করবে বাংলাদেশ পাল্টা জবাবটা কেমন দেয়।
‘ধরা যাক ভারত ৪০০ প্লাস করলো প্রথম ইনিংসে। এখন বাংলাদেশ রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের সাথে শেষ টেস্টে যেমন ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়েও পাকিস্তানীদের ২৭৪ রানের জবাবে মাত্র ১২ রানে পিছিয়ে ছিল, চেন্নাইতেও তেমন করতে হবে। লিড নিতে পারলেতো কথাই নেই। অন্তত ১৫-২০ বা ২৫ রানের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচে ভালমতই থাকবে শান্তর দল। ব্যবধানটা বড় হলে আর ম্যাচে ফেরা কঠিন হবে।’