অশ্বিন-জাদেজার ব্যাটিং বলে দিলো, ভারত-পাকিস্তানের পার্থক্য কতটা?

স্পোর্টস ডেস্ক
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:২৮

বাংলাদেশের সাথে লন্ডনের সময়ের পার্থক্য বেশ; ৫ ঘণ্টা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় যখন চেন্নাই টেস্ট শুরু হলো, লন্ডনে তখন ভোর ৫টা। তাই বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত মোহাম্মদ আশরাফুল, একদম প্রথম বল থেকে দেখতে পারেননি। তবে লাঞ্চের পর থেকে বিশেষ করে সেশন পুরো দেখেছেন। একটি বলও মিস করেননি টেস্ট ক্রিকেটের কনিষ্ঠতম সেঞ্চুরিয়ান।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও লেভেল ‘থ্রি’ কোচিং করা আশরাফুল প্রথম দিনের খেলার মূল্যায়ন করতে গিয়ে প্রথমেই বলেন, ‘শেষ ফল কি হবে, তা জানাবে সময়। তবে আমার মনে হয়, আজ বৃহস্পতিবার প্রথম দিনই বোঝা গেছে, আসলে ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় দলের বর্তমান মান, ক্রিকেটারদের কোয়ালিটি ও অভিজ্ঞতার ফারাক বিস্তর এবং দিন শেষে সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
আশরাফুলের অনুভব, ভারত ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যে চাপে পড়েছিল, যেখান থেকে দিন শেষে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান করে ফেলেছে। এরই মধ্যে সপ্তম উইকেটে অশ্বিন আর রবিন্দ্র জাদেজা ১৯৫ রানের বিরাট পার্টনারশিপ তৈরি করে ফেলেছেন। সেটা পাকিস্তান হলে কিছুতেই পারতো না। হয়ত আড়াইশোর আশপাশে প্রথম ইনিংস শেষ হতো পাকিস্তানীদের।
তখন ম্যাচের চিত্র থাকতো ভিন্ন; কিন্তু দলটা ভারত বলেই তা হয়নি। আশরাফুলের চোখে আজ বৃহস্পতিবার প্রথমদিন শেষে ভারত পরিস্কার সুবিধাজনক অবস্থানে। আজ ভারতের ২ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবিন্দ্র জাদেজা যেখানে দিন শেষ করে অপরাজিত অবস্থায় সাজঘরে ফিরলেন, সেখান থেকে ভারত আর কতদূর যেতে পারে? বাংলাদেশেরই বা ম্যাচে ফিরতে হলে কি কি করনীয়?
জাগে নিউজের কাছ থেকে সে প্রশ্ন শুনে আশরাফুল বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠে আমি শেষ সেশনটা পুরো দেখলাম। রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রবিন্দ্র জাদেজা কি ব্রিলিয়ান্ট ব্যাটিং করলো! অবশ্য তাদের এমন অসাধারণ দৃঢ়তা আর আর দায়িত্ব সচেতন এবং কোয়ালিটি ব্যাটিং দেখে মোটেই অবাক হইনি। দে হ্যাভ দ্যাট ক্লাস।’
জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আসলে এটাই ভারত আর পাকিস্তানের পার্থক্য। এই অবস্থায় পাকিস্তান হলে হয়ত আড়াইশোর মধ্যে বুকড হয়ে যেত। দেড়শোর আশপাশে ৬ উইকেট হারানোর পর পাকিস্তানের লেট ও লোয়ার অর্ডারের মধ্যে আর ১০০’র বেশি রান করা খুব কঠিন ছিল। সেখানে ভারতীয়রা আর কোন উইকেট না হারিয়ে ১৯৫ রান যোগ করেছে।’
‘এটাই আসলে ভারতের বর্তমান দলটির সত্যিকার রুপের প্রতিফলন। ভারত দল হিসেবে অনেক সমৃদ্ধ। সুগঠিত। শক্তিশালী। তাদের ব্যাকআপ পারফরমার অনেক। কি বোলিংয়ে, কি ব্যাটিংয়ে প্রয়োজনের সময় হাল ধরার মত মেধাবী, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও অতি কার্যকর পারফরমার আছেন বেশ কয়েকজন। অলরাউন্ডারও আছেন বেশ কিছু। যারা যথার্থই ট্যালেন্টেড। বলার অপেক্ষা রাখে না, সেই কাতারে ওপরের দিকেই আছে রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রবিন্দ্র জাদেজার নাম। অশ্বিনের আছে ৬টি টেস্ট শতক। আর রবিন্দ্র জাদেজা ৪ টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক। সেখানে পাকিস্তানের হয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলার কোটা ও লেট অর্ডারে যারা খেলেছেন, তাদের কারোই অতগুলো টেস্ট সেঞ্চুরি নেই। কাজেই পার্থক্যটা সেখানেই।’