বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন তাবিথ আউয়াল। এটা অনেক আগ থেকে সবার জানা। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবাই জানতেন, বাফুফের সভাপতি পদে কাজী সালাহউদ্দিন লড়াই না করলে সেখানে তাবিথ আউয়াল নির্বাচন করবেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি তিনি। মায়ের অসুস্থতায় তাবিথ ব্যস্ত ছিলেন। মাকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। বাফুফে নিয়ে ব্যতি ব্যস্ত ছিলেন না তিনি।
অবশেষে আজ (সোমবার) ঘোষণা দিতে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হবেন তাবিথ। গতকাল রাতে তাবিথ জানিয়েছেন তিনি বাফুফের নির্বাচন করবেন। সে কথাটা বলার জন্যই সংবাদমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাবিথ দেশের সাবেক ফুটবলার। কাজ করেছেন বাফুফেতে। সহ-সভাপতি হিসেবে কাজী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করেছেন। বর্তমান কমিটিতে ছিলেন না তাবিথ। সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু আরেক প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ মহির সঙ্গে ভোট সমান হয়ে যাওয়ায় পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও তাবিথ হেরে যান। ১৩৯ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৩০ জন, এর মধ্যে মহি ৬৭ এবং তাবিথ ৬৩ ভোট পান।
তাবিথের পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে সেই নির্বাচনে তাবিথকে হারানোর জন্য সরকারি একটি সংস্থা কাজ করেছিল বলে তখনকার গুঞ্জন। তা না হলে, তাবিথ যেভাবে ফুটবলের জন্য কাজ করেছিলেন, তার পরাজয় বরণ করার কথা না। তাবিথের হার সবাইকে হতবাক করেছিল। কারণ জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান না হয়েও তাবিথ ফুটবলের জন্য অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন প্রতিনিয়ত। কিন্তু তাবিথ কোনো বিষয়ে কখনো মুখ খুলতেন না। নিজের প্রচার করতেন না।
এরই মধ্যে তরফদার রুহুল আমিন নিজেও নির্বাচন করতে চান, জানা যায় ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রুহুল আমিন তাবিথকে সভাপতি পদে এবং নিজে সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাবিথ সেটি গ্রহণ করেননি। কারণ তখনো কাজী সালাহউদ্দিন নির্বাচন করার জন্য নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সালাহউদ্দিন নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়ার এক দিন পর সামনে আসেন ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকরা তরফদার রুহুল আমিন। বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি। পাঁচ দিন পর বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এই দুই প্রার্থী যদি নির্বাচন করেন তাহলে বাফুফের নির্বাচন হতে পারে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে লড়াই।