টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের কানপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন টাইগার অলরাউন্ডার। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামার একদিন আগে এমন ঘোষণা দিলেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার।
সাকিব জানান, আগামী অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজই হবে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বশেষ সিরিজ। এরপরই সাদা পোশাক তুলে রাখবেন তিনি।
শেয়ার কারসাজি: সাকিব আল হাসানের ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
অন্যদিকে সাকিব সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বিশ্বকাপেই। অর্থাৎ বাংলাদেশ ক্রিকেটের ১৮ বছরের লড়াকু সৈনিককে আর কখনো টি-টোয়েন্টিতে দেখা যাবে না।
সে হিসেবে গত ২৪ জুন কিংসটাউনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই সাকিবের শেষ টি-টোয়েন্টি। ওই ম্যাচে ০ রানে আউট হওয়া সাকিব ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়েও ছিলেন উইকেটশূন্য।
সাকিব জানান, বোর্ড সভাপতি, নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব।
সাকিব বলেন, ‘এভাবেই ফারুক ভাইয়ের (বিসিবি সভাপতি) সঙ্গে ও নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন কীভাবে সুন্দর ভাবে আয়োজন করা যায়।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলার প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি তো এভেলেবল। দেশে যেহেতু অনেক পরিস্থিতি আছে, সবকিছু অবশ্যই আমার ওপরে না। আমি বিসিবির সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের বলা হয়েছে আমার কি পরিকল্পনা। এই সিরিজ আর হোম সিরিজটা আমি ফিল করেছিলাম আমার শেষ সিরিজ হবে, টেস্ট ক্রিকেটে স্পেশালি।’
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বিদায় জানানোর ঘোষণা দিলেও ওয়ানডে খেলবেন সাকিব। ৫০ ওভারের ফরম্যাট থেকে অবসরের আপাতত কোনো চিন্তা নেই তার মাথায়।
টি-টোয়েন্টির ব্যাপারে অবশ্য একটা অপশন খোলা রেখেছেন সাকিব। তিনি জানিয়েছেন, যদি আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তাকে প্রয়োজন হয় এবং টিম ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ড তাকে দলে রাখতে চায়, তাহলে তিনি ভেবে দেখবেন।
সাকিবের ভাষায়, ‘যদি আমার ফিটনেস লেভেল ঠিক থাকে এবং খেলার মতো অবস্থায় থাকি আর বোর্ড ও টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে আমি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারটা পুনঃবিবেচনা করে দেখবো।’
হত্যা মামলার বিষয়কে সামনে এন সাকিব বলেন, ‘আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে, দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোনো সমস্যা না হয়। বোর্ড খেয়াল করছে। বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তারা দেখছেন। তারা হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবেন, যেটার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটটা ছাড়তে পারবো।’