পাকিস্তানের চলতি ঘরোয়া মৌসুমের পরই সব ধরনের ক্রিকেট আম্পায়ারিং থেকে অবসরে যাবেন আলিম দার। এতে করে আম্পায়ার হিসেবে তার প্রায় ২৫ বছরের যাত্রার সমাপ্তি হচ্ছে।
৫৬ বছর বয়সী আলিম দার গত বছরের মার্চে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার পদ থেকে অব্যহতি নেন। তবে আন্তর্জাতিক প্যানেলে থাকায় ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ ছিল তার। চলতি বছর পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দেখা যায় আলিম দারকে।
ক্যারিয়ারের চূড়ায় থাকা অবস্থায় বিশ্বের অন্যতম সেরা আম্পায়ার হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছিলেন আলিম দার। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার হন তিনি।
২০০২ সালে আইসিসির এলিট প্যানেল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে সেখানে জায়গা করে নেন দার। তারপর তিনি চারটি বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং রেকর্ড গড়ে ১৪৫ টেস্ট ও ২২২টি ওয়ানডে পরিচালনা করেছেন।
ক্যারিয়ারের ইতি টানা প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে আলিম দার বলেন, ‘প্রায় ২৫ বছর ধরে আম্পায়ারিং আমার জীবন। এই প্রজন্মের কিছু গ্রেট খেলোয়াড়দের সঙ্গে কিছু আইকনিক ম্যাচ পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছি। আমার পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে, আমি ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ মান ধরে রাখার চেষ্টা করেছি এবং বিশ্বের সেরা ম্যাচ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করা সম্মানের বিষয়।’
সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের এই দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে দাতব্য কাজে বেশি সময় দিচ্ছেন দার। নিজের নামে তিনি ‘আলিম দার ফাউন্ডেশন’ করেছেন, যেখান থেকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবার পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য ব্লাড ব্যাঙ্ক এবং ট্রান্সফিউশনের ব্যবস্থা করেছেন। সেখানেই তিনি আরও সময় কাটাতে চান।
খেলোয়াড়ি জীবনে আলিম দার ছিলেন একজন লেগস্পিনার। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ১৭টি প্রথম শ্রেণির এবং ১৮টি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে কায়েদে আজম ট্রফিতে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হয় দারের। পরবর্তী প্রজন্মের আম্পায়ার তৈরিতে কাজ করারও ইচ্ছে আছে তার।