সতীর্থকে ফাউল করা সহ্য করতে পারলেন না মিলুতিন ওসমাজিক। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নিজেও বড় অপরাধই করে বসলেন প্রেস্টন নর্থ এন্ডের ফরোয়ার্ড। প্রতিপক্ষ ব্লাকব্লার্নের খেলোয়াড় ওউইন বিকের ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দিলেন তিনি। এই অপরাধের কারণে বড় শাস্তিও পেতে হলো মিলুতিনকে।
ঘাড়ে কামড় দেওয়ার অপরাধে মিলুতিনকে ৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে তাকে ১৫ হাজার ইউরো জরিমানা করেছে সংস্থাটি। মন্টিনিগ্রোর এই তারকা অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় এই ব্যাপারে আর কোনো শুনানির প্রয়োজন নেই।
ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রেস্টন নর্থ এন্ড তারকা মিলুতিন ওসমাজিককে ৮ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে এবং একই সাথে ১৫,০০০ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর ইএফএল চ্যাম্পিয়নশিপে ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষের ম্যাচে এ ঘটনা ঘটেছিল।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ওই ফরোয়ার্ড স্বীকার করেছেন যে, তিনি ম্যাচের ৮৭ মিনিটে কামড়ের মতো আক্রমণাত্মক কাজ করেছেন। একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ কমিশন শুনানির পর তার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর লিখিত কারণ যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।’
ঘটনার পটভূমি জেনে আসা যাক।
গত ২২ সেপ্টেমর ইংলিশ ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রেস্টন নর্থ এন্ডের মুখোমুখি হয় ব্লাকবার্ন। ম্যাচটি শেষ হয় গোলশূন্য ড্র-তে।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ে (৪৩ মিনিটে) লাল কার্ড দেখেন প্রেস্টনের স্যাম গ্রিনউড। একজন কম নিয়ে খেলেও ম্যাচ ধরে রেখেছিল প্রেস্টন। ম্যাচের শেষ দিকে দেখা যায় উত্তেজনা। ৮৯ মিনিটে ব্লাকবার্নের ফরোয়ার্ড বিক প্রেস্টনের খেলোয়াড় দুয়ানে হোমেসকে লাথি মারেন। এতে রেফারি লাল কার্ড দেখান বিককে।
বিককে মাঠ থেকে বরখাস্ত করার পরেও ক্ষান্ত হননি প্রেস্টনের খেলোয়াড়রা। তারা বাজেভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। এক পর্যায়ে ক্রোধে ফাউল করা বিকের ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দেন মিলুতিন। ম্যাচ শেষে অভিযোগ জানায় বিক। সেই তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মিলুতিনকে শাস্তি দেওয়া হয়।
লিভারপুল থেকে ধারে ব্লাকবার্নের হয়ে খেলেন বিক। তিনি ওয়েলসের অনূর্ধ্ব-২১ দলে ডিফেন্ডার হিসেবে খেলেন। এখনো জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি তার।
অন্যদিকে প্রেস্টনের ২৫ বয়সী উইঙ্গার মিলুতিন মন্টিনিগ্রোর জাতীয় দলে ২০ ম্যাচ খেলেছেন।