সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ওপেনার সাদমান ইসলাম আউট হয়েছিলেন ১২ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ বাঁহাতি ব্যাটার। এই ইনিংসে করেছেন মাত্র ৪ রান। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের অস্বস্তির কারণ হয়েছেন সাদমান।
মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক কিছুটা দেখেশুনে খেলায় দ্বিতীয় দিনের শেষটা খুব বেশি খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। তবে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ৮২ রানের লিড টপকে যেতে পারেনি স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভারে ১ উইকেটে ৫৭ রান করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর দল এখনো ২৫ রানে পিছিয়ে। জয় ২৮ ও মুমিনুল অপরাজিত আছেন ১৫ রানে।
আজ সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। সকাল সকাল বাংলাদেশকে আশা দেখান নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদরা। দিনের শুরুতেই তৃতীয় ওভারে নাহিদ রানার বাউন্সে পরাস্ত হয়ে শর্ট লেগে মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বেন কারেন (১৮)। তার তিন ওভার পর নাহিদের দ্বিতীয় শিকার হাফসেঞ্চুরিয়ান ব্রায়ান বেনেট।
নাহিদের পঞ্চম স্টাম্পে করা শর্ট অব গুড লেহ্নের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জাকের আলীর গ্লাভসে ধরা পড়েন বেনেট। ৬৪ বলে ১০ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৫৭।
পরের ওভারেই হাসান মাহমুদের চোখ ধাঁধানো এক ডেলিভারি। অফস্টাম্প উড়ে যায় নিক ওয়েলচের (২)। ৮৮ রানে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে শন উইলিয়ামস আর ক্রেইগ আরভিনের অনেকটা সময় প্রতিরোধ।
চতুর্থ উইকেটে ৪১ রানের জুটি করেন উইলিয়ামস ও আরবিন। এই জুটিও ভাঙেন নাহিদ রানা। দুর্দান্ত এক ডেলিবারিতে আরবিনকে উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিকের ক্যাচ বানান তিনি। ৩৯ বলে মাত্র ৮ রান করে সাজঘরে ফেরত যান আরবিন।
পঞ্চম উইকেটে আবারও জুটি করেন উইলিয়ামস ও ওয়েসলি ম্যাধেভেরে। এই জুটিতে আসে ৪৮ রান। ম্যাধেভেরেকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন পেসার খালেদ আহমেদ। ৩৩ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন ম্যাধেভেরে।
আঠার মতো উইকেটে লেগে থাকা উইলিয়ামসকে আউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি টাইগার স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ হন তিনি। আউট হওয়ার আগে বাঁহাতি ব্যাটার অবশ্য ফিফটি করে ফেলেছেন। ১০৮ বলে করেছেন ৫৯ রান।
লোওয়ার মিডলঅর্ডারে রান করে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে দিয়েছেন নায়াশা মায়াভো। ৫৪ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। নিচের দিকে ৪৪ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন রিচার্ড এনগারাভা। ব্লেসিং মুজারাবানির অবদান ১৬ বলে ১৭ রান। এতে জিম্বাবুয়ের পুঁজি দাঁড়ায় ২৭৩ রানের। সঙ্গে লিড যোগ হয় ৮২ রানের।
দিনের তৃতীয় সেশনে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। দলীয় ১৩ রানের মাথায় উইকেট বিলিয়ে দেন সাদমান। ১০ বলে ৪ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে সেকেন্ড স্লিপে শন উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংনে বাংলাদেশের হয়ে ৫২ বলে রানে ৫ উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নাহিদ রানা ৩ এবং খালেদ আহমেদ ও হাসান মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।