২০১৮ সালে কেপটাউনে স্যান্ডপেপার কাণ্ডের শাস্তি ছয় বছর ধরে বয়ে বেড়াচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার। অবশেষে নেতৃত্বে আজীবন নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি মিললো অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনারের। শুক্রবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। তাতে করে বিগ ব্যাশ লিগ দল সিডনি থান্ডারের অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা ফিরে পেলেন ওয়ার্নার।
চলতি মাসের শুরুতে তিন সদস্যের স্বতন্ত্র প্যানেলের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ৩৭ বছর বয়সী। প্যানেল জানায়, অবিলম্বে তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সব মানদণ্ড পূরণ করেছেন ওয়ার্নার। তাই তাকে শাস্তি থেকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে।
কেপটাউনে বল টেম্পারিং কাণ্ডের সময় সহঅধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নার। ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে দিয়ে বল বিকৃতি করানোর নেপথ্যে মূল হোতা হিসেবে শনাক্ত করা হয় তাকে। তারপর এক বছরের জন্য ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি নেতৃত্বে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখনকার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে ১২ মাসের জন্য অধিনায়কত্ব থেকে নিষিদ্ধ করা হয়, ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত থাকতে হয়েছিল এক বছর। আর ব্যানক্রফটকে ৯ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
নেতৃত্বে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ওয়ার্নার আপিল করেছিলেন। কিন্তু তদন্ত কমিটির আচরণে ক্ষুব্ধ aহয়ে ২০২২ সালে তা প্রত্যাহার করে নেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন তিনি।
সবশেষ শুনানিতে সিডনি থান্ডারের জেনারেল ম্যানেজার ট্রেন্ট কোপল্যান্ডের সঙ্গ পান ওয়ার্নার। বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড, সাবেক অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেল ও জাতীয় নারী দলের সাবেক অধিনায়ক ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার্স অ্যাসিয়েশনের ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট লিসা স্টালেকারের কাছ থেকে লিখিত সুপারিশ পায় প্যানেল।
নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ওয়ার্নারকে সমর্থন জানিয়ে তিন সদস্যের কমিটির কাছে একটি চিঠিও পাঠান।