আধুনিক ও কার্যকর পরিকাঠামো এবং বিশ্বমানের আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। আর তাই পর্যটক এবং বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কাছে সিঙ্গাপুর হতে পারে একটি আদর্শ দেশ।
যদি আপনার স্থায়ী বসবাসের তালিকায় সিঙ্গাপুর থাকে তবে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। সিঙ্গাপুর দিচ্ছে স্থায়ী বসবাস বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর) নেয়ার সুযোগ যা শুধু সিঙ্গাপুরে বসবাস ও কাজের নিশ্চয়তাই দেবে না সাথে ভবিষ্যতে নাগরিকত্বের পথও সুগম করবে।
সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বসবাসের জন্য কারা যোগ্য?
সিঙ্গাপুর পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর) বিদেশিদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার অনুমতি দেয়। একবার পিআর অনুমোদিত হলে একটি নীল রঙের পরিচয়পত্র দেওয়া হয় যা স্থায়ী বাসিন্দার পরিচয় হিসেবে ব্যবহার হয়।
নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ করলে সিঙ্গাপুর পিআর এর জন্য একজন ব্যক্তিকে যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়-
১. কেউ যদি সিঙ্গাপুরে ছাত্র হিসেবে যায় এবং কমপক্ষে দুই বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করে থাকে তবে তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
২. ২১ বছরের নিচে এবং যাদের জন্ম একজন সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা পিআর হোল্ডারের পরিবারে হয়েছে।
৩. যারা একজন সিঙ্গাপুর নাগরিক বা পিআর হোল্ডারের সঙ্গে বিবাহিত।
৪.যারা একজন সিঙ্গাপুর নাগরিক বা পিআর হোল্ডারের ওপর নির্ভরশীল।
৫. বিদেশি বিনিয়োগকারী যিনি দেশটিতে কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন (প্রায় ৬৮ দশমিক ৩২ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করেছেন।
৬. যারা সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন কাজ করছেন এবং যাদের কর্মসংস্থান পাস, এস পাস বা অন্যান্য নির্দিষ্ট পাস রয়েছে।
এসব যোগ্যাতার পাশাপাশি কিছু প্রয়োজনীয় নথি থাকা আবশ্যক যার মধ্যে রয়েছে-
পাসপোর্টের বায়োডাটা পেজ
বৈধ ভ্রমণ নথি
বৈধ ইমিগ্রেশন পাস
কর্মসংস্থান পাস (যদি প্রযোজ্য হয়)
প্রতিটি আবেদনকারীর পাসপোর্ট আকারের ছবি
জন্ম সনদ
শিক্ষাগত সনদপত্র
গত ছয় মাসের বেতন স্লিপ
স্পন্সরের পরিচয়পত্র
পূর্ববর্তী নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে সুপারিশের চিঠি
বিবাহের সার্টিফিকেট, (যদি প্রযোজ্য হয়)
স্বামী/স্ত্রীর শিক্ষাগত এবং কর্মসংস্থানের নথিপত্র
এসব নথিপত্র ইংরেজিতে না থাকলে সেক্ষেত্রে নথির সাথে নোটারিকৃত অনুবাদ থাকতে হবে।
কীভাবে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করবেন-
ধাপ ১- ইমিগ্রেশন অ্যান্ড চেকপয়েন্টস অথরিটি (আইসিএ) এর অফিসিয়াল ই-সার্ভিস পোর্টালে গিয়ে কোন স্কিমে পিআর এর জন্য আপনি যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন তা যাচাই ও নিশ্চিত করতে হবে।
ধাপ ২- সিংপাস ব্যবহার করে আইসিএ’র ই-সার্ভিসে লগ ইন করতে হবে।
ধাপ ৩- অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোড করতে হবে।
ধাপ ৪- আবেদন ফি হিসেবে অ-ফেরতযোগ্য ৬,৮৩৪ টাকা প্রদান করতে হবে।
ধাপ ৫- আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত ৪ থেকে ৬ মাস সময় নেয়, তবে এর বেশি সময়ও লাগতে পারে।
ধাপ ৬- অনুমোদন হয়ে গেলে পিআরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে এবং এনআরআইসি (আইডি কার্ড) ও পুনঃপ্রবেশের অনুমতিপত্র নিতে হবে।