
বিছনাকান্দি। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। সুউচ্চ সবুজ পাহাড় আর প্রকৃতির পাতানো পাথরের বিছানা দিয়ে ছুটে চলা শীতল জলরাশির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রতিনিয়ত পর্যটকদের কাছে টানতো। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নয়নাভিরাম এই পর্যটনকেন্দ্রটি আজ ধুঁকছে।
যাতায়াত ব্যবস্থায় নজিরবিহীন দুর্ভোগ, পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও স্থানীয়দের অনাগ্রহের কারণে বিছনাকান্দি এখন অনেকটা পর্যটকশূন্য। সাপ্তাহিক ছুটির দিন কিংবা বিশেষ কোনো দিবসেও হাতগোনা পর্যটকদের দেখা মেলে বিছনাকান্দিতে। সড়ক পথের দুর্ভোগ জয় করে যারা একবার ঘুরতে যান সেখানে তারাও আর দ্বিতীয়বার যাওয়ার আগ্রহ দেখান না।
গত কয়েক বছর ধরে বিছনাকান্দির এই অবস্থা চলতে থাকলেও নীরব দর্শক স্থানীয় প্রশাসন। হাতেগোনা যে পর্যটক যান তাদের জন্যও নেই পর্যাপ্ত সুবিধা। নামেমাত্র একটি শৌচাগার, সেটিও ব্যবহার অনুপযোগী। নেই নারীদের পোশাক পাল্টানোর নিরাপদ স্থান। পর্যটকদের সহযোগিতায় স্থানীয়দেরও আগ্রহ নেই। যেন অযত্ন-অবহেলায় ধুঁকে ধুঁকে মরার মতো অবস্থা।
এদিকে পর্যটকদের আনাগোনা কমে যাওয়ায় বিছনাকান্দির পাথর লুটও চলছে নীরবে। রাতের আঁধারে ছোট ছোট পাথর লুট করে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। বড় বড় পাথর ছাড়া ছোট কোনো পাথরের অস্তিত্বই নেই সেখানে।
জেলা প্রশাসনের মহাপরিকল্পনা
অবশ্য সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে নিয়ে একটি মহাপরিকল্পনার কথা বলছে জেলা প্রশাসন। সেই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বিছনাকান্দি ফিরে পেতে পারে তার আগের রূপ। তবে এর আগেও বিছনাকান্দিসহ সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে মহাপরিকল্পনা করেছিল বাংলাদেশ ট্যুরিজম উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু এসব মহাপরিকল্পনা কেবল কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ থাকায় বাস্তবে সরকারি উদ্যোগে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি এই পর্যটনকেন্দ্রে। এমনকি বিছনাকান্দিকে ঘিরে মাস্টারপ্ল্যান করলেও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন জানে না কোনো কিছু। এতে করে মাস্টারপ্ল্যান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা
বিছনকান্দির অবস্থান সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায়। সিলেট শহর থেকে দূরত্ব মাত্র ২৬ কিলোমিটার। এই পথ পাড়ি দিতে সড়কপথে আধা ঘণ্টা লাগার কথা। কিন্তু ভাঙাচোরা ও বিধ্বস্ত সড়কের কারণে সেখানে পৌঁছাতে অন্তত দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগে। কখনো যানজটে আটকা পড়লে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে পৌঁছাতে।
পর্যটন মৌসুমে নির্জন সুন্দরবন, সাতক্ষীরা রেঞ্জে শুধুই হতাশা
স্থানীয় ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৫ ও ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিছনাকান্দি ছিল ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম পছন্দের পর্যটনকেন্দ্র। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত পর্যটক ভিড় করতেন বিছনাকান্দিতে। কিন্তু সালুটিকর-হাদারপাড় সড়কের অবস্থা খারাপ হতে শুরু হওয়ায় পর্যটক কমা শুরু হয়। এরপর সড়ক দুর্ভোগ আরও বাড়তে থাকায় পর্যটকরাও পিছু হটতে শুরু করেন।
বিশেষ করে সড়কের বঙ্গবীর এলাকা থেকে হাদারপাড় পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার সড়ক পুরোটাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ায় এই এলাকার পর্যটন শিল্পে বড় ধাক্কা লাগে। এরপর কয়েক দফায় সড়ক সংস্কার করা হলেও পর্যটকরা আর ফিরে তাকায়নি।
সর্বশেষ ২০২০ সালের পর থেকে বিছনাকন্দির সড়ক যোগাযোগ একেবারে বেহাল হয়ে পড়ে। যার প্রভাব পড়ে পর্যটকদের ওপর। ২০২২ সালে সালুটিকর-হাদারপাড় সড়কের কাজ শুরু হলেও এখনও শেষ হয়নি।
বিবিয়ানা সামিট পাওয়ার প্ল্যান্টের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এটা অনেক সুন্দর একটি জায়গা। পাহাড়, নদী-জল সবকিছুই আছে। অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের তুলনায় এটি অনন্য। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অনেকেই আসতে চায় না। কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে এই পর্যটনকেন্দ্রটিকে আরও অনেক উন্নত করতে পারবে। এটা করা জরুরি বলেও তিনি যোগ করেন।
তিনি বলেন, এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ নেই, পোশাক পরিবর্তনের নিরাপদ জায়গা নেই। কর্তৃপক্ষের উচিত এদিকে নজর দেওয়া। যদি এসব বিষয় নিশ্চিত করা যায়, তাহলে বিছনাকান্দি পর্যটক টানবে।
যাতায়াত দুর্ভোগে বিছনাকান্দি ভুলতে বসেছে পর্যটকরা
পর্যটনকেন্দ্রের ফটোগ্রাফার আব্দুল জলিল বলেন, বিছনাকান্দিতে এখন পর্যটক নেই বললেই চলে। শুক্রবারও দেখা যায় হাতেগোনা পর্যটক। অথচ বছর পাঁচেক আগে এখানে ঢল নামতো পর্যটকের।
তিনি বলেন, একমাত্র সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে এই পর্যটনকেন্দ্রটি। তাছাড়া পাথর লুটপাটের কারণেও এখন সৌন্দর্য কমেছে অনেকাংশে। পর্যটকরা এসে ভালো কিছু দেখতে পায় না। এই প্রভাব সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় পর্যটক কম।
স্থানীয় রুস্তুমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন শিহাব বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে পর্যটক কমে যাওয়ার একমাত্র কারণ হলো দুর্বল যাতায়াত ব্যবস্থা। এই বার্তাটা পর্যটকদের কাছে পৌঁছে যাওয়ায় দিনে দিনে আরও পর্যটক কমেছে।
তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে আমরা উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সময় সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কেন হচ্ছে না তা আমাদেরকে বলা হচ্ছে না। তবে যাতায়াত দুর্ভোগ ছাড়াও এখানে পর্যটক কম আসার অন্যতম একটি কারণ হলো-দুর্গম এলাকা। কারণ এই পর্যটনকেন্দ্রটি ঘুরতে গেলে এদিন অন্য কোনো জায়গা ঘুরে দেখা যায় না। যার কারণে অনেকেই এখানে আসেন না।
স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি বলেন, বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ চলছে। এগুলোর কাজ শেষে হয়ে গেলে পর্যটকরা একেবারে পর্যটনকেন্দ্র পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে যেতে পারবে।
তিন বছরে সড়কের কাজ ৪০ শতাংশ
প্রায় ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সালুটিকর-হাদারপাড় সড়কের ১০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের নভেম্বরে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডালি কন্সট্রাকশন লিমিটেড ও দেলওয়ার হোসেন কনস্ট্রাকশন যৌথভাবে কাজ করছিল। দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বাড়িয়েও চলতি বছরেও কাজ শেষ করেছে ৩৫ শতাংশ।
যাতায়াত দুর্ভোগে বিছনাকান্দি ভুলতে বসেছে পর্যটকরা
ধীর গতিতে কাজের কারণে স্থানীয়রা শুরু থেকেই প্রতিবাদ করে আসছিলেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশল বিভাগের গাফিলতির কারণেই আলোর মুখ দেখা কঠিন হয়ে পড়েছিল। অবশেষে গত ২৫ অক্টোবর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে ঠিকাদারি চুক্তি বাতিল করা হয়। নতুন করে অবশিষ্ট কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করার প্রক্রিয়া চলছে।
এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, সালুটিকর-হাদারপাড় সড়কে দুটি প্যাকেজে প্রায় ১০ কিলোমিটার কাজ করছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডালি কন্সট্রাকশন লিমিটেড ও দেলওয়ার হোসেন কনস্ট্রাকশন। কিন্তু কয়েক দফায় সময় বাড়ানোর পরও কাজ হয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। এ অবস্থায় তাদেরকে দিয়ে আর কাজ হবে না। তাই আমরা চুক্তি বাতিল করে ঢাকায় আবেদন করেছি। চলতি মাসের মধ্যে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে বাকি কাজ করা হবে।
পর্যটন বিকাশে স্থানীয়দের অনাগ্রহ
এখানকার পর্যটন বিকাশে স্থানীয়দের অনাগ্রহের পাশাপাশি তরুণ-যুবকরাও ঝুঁকছেন চোরাচালানে। প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে বিছনাকান্দি পরিচিতি পাওয়ার অনেক পরেও সিলেটের বেশ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্রের বিকাশ ঘটেছে। এর পেছনে রয়েছে স্থানীয়দের আগ্রহ। কিন্তু বিছনাকান্দির বেলায় ঘটছে ঠিক তার উল্টোটা। এখানকার স্থানীয় জনগণ এটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বিকশিত করার চেয়ে পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করতে বেশি আগ্রহী। যার কারণেই বিছনাকান্দি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে অবহেলিত। তছাড়াও রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তদারকির অভাব ও দুর্গম এলাকা।
চোরাচালানের বিস্তার
বিছনাকান্দিতে পর্যটক কমে যাওয়ায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট অসংখ্য মানুষ এখন অনেকটা বেকার। তাছাড়াও উচ্চ আদালতের নির্দেশে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় অনেক পাথর শ্রমিকও এখন ঘরে বসে আছেন। অনেকে ঝুঁকছেন কৃষিতে। তবে সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সিংহভাগ মানুষই জড়িয়েছেন চোরাচালানে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী এই এলাকার তরুণ-যুবক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সীরা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। রাতের বেলা বিছনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে অবাধে গরু-মহিষ ঢোকে ভারত থেকে। তাছাড়াও চিনি, পেঁয়াজ ও রসুনের চোরাচালান চলে দিনে রাতে সমানতালে। এসব চোরাচালানি কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন স্থানীয় যুবকরা।
সরজমিনে দেখা গেছে, দিনের বেলা সীমান্ত দিয়ে বস্তা বস্তা পেঁয়াজ-রসুন ঢুকছে দেশে। পরে এসব পেঁয়াজ মোটরসাইকেলে করে সীমান্ত এলাকা পার করে দেন স্থানীয় যুবকরা। বিশেষ করে প্রতি চারদিন অন্তর অন্তর ভারতের সীমান্ত হাটের দিন অবাধে ঢোকে ভারতীয় পণ্য।
যাতায়াত দুর্ভোগে বিছনাকান্দি ভুলতে বসেছে পর্যটকরা
চোরাচালানি ঠেকাতে বিজিবি সদস্যরা তৎপর থাকলেও ওই এলাকার শিশু থেকে শুরু করে সিংহভাগ মানুষ এসবের সঙ্গে জড়িত থাকায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, প্রতিদিনই ভারত থেকে গরু-মহিষ, পেঁয়াজ, রসুন, টায়ারসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য সীমান্ত দিয়ে ঢোকে। স্থানীয় যুবকরা মোটরসাইকেলে করে এসব পণ্য প্রধান সড়ক পর্যন্ত পৌঁছে দেন। সেখান থেকে ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায় এসব চোরাচালানের পণ্য।
তিনি বলেন, একটি মোটরসাইকেলে অন্তত ৬-৭ বস্তা পেঁয়াজ-চিনি টানেন চালকরা। চোরাচালানের পণ্য নিয়ে মোটরসাইকেল চালকদের বেপরোয়াভাবে চলাচলে সন্ধ্যার পরে অনেকে রাস্তায় বের হতে ভয় পান।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার মিয়া বলেন, বিছনাকান্দি এলাকার অর্থনীতি মূলত পাথরকোয়ারী নির্ভর। যখন পাথর কোয়ারি সচল ছিল, তখন এলাকার জীবনমান ভালো ছিল। কিন্তু বর্তমানে পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় স্থানীয়দের অনেকে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন। কেউ কেউ কৃষিতে মনোযোগ দিয়েছেন।
তবে তার দাবি, সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হলেও এই এলাকায় আবারো পর্যটকদের আনোগোনা বাড়বে। ইঞ্জিন নৌকার ওপর বসে গান গেয়ে বাজনা বাজিয়ে পর্যটকরা বিছনাকান্দি ঘুরতে যাবে। সেই আগের জৌলুস ফিরে আসবে। স্থানীয়দেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
চোরাচালানের বিষয়ে বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাঁড়া দেননি। এমনকি তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ পাঠালেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেন, যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ হওয়া বিছনাকান্দিতে পর্যটকরা যান না এটা সত্য। সড়ক সংস্কার ও কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছে। সংস্কার কাজ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি এবং দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিচ্ছি।
সালুটিকর-হাদারপাড় সড়কের ১০ কিলোমিটার কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আসলে আমার জানা নেই। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হলে সেটা যাতে দ্রুত শেষ হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান প্রসঙ্গে ইউএনও রতন কুমার বলেন, এ বিষয়ে আমার সঙ্গে কারো কথা হয়নি। ঢাকা থেকে তারা এসেছিল। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে।
সীমান্তে চোরাচালান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিজিবি কাজ করছে। তাছাড়া আমাদেরও নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ