ঘুষ প্রদান এবং ব্যবসায়িক নথিপত্র জালিয়াতির মামলা থেকে আপাতত মুক্তি মিলছে না যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। গতকাল সোমবার একজন বিচারক ট্রাম্পের আইনজীবীদের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ড্যানিয়েলসের হাতে ওই অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যবসায়িক নথিতে বিষয়টি গোপন রাখেন ট্রাম্প। এ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয় এবং গত মে মাসে নিউইয়র্কের একটি আদালতে তাঁকে সব কটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন। গত ১১ জুলাই তাঁর সাজা ঘোষণার তারিখও জানিয়েছিলেন আদালত।
কিন্তু তার আগেই মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট একটি আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প যেসব প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করেছেন, সেসবের জন্য তিনি দায়মুক্ত থাকবেন বলে ঘোষণা করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ওই আদেশের ভিত্তিতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হওয়া ঘুষ ও নথিপত্র জালিয়াতির মামলা বাতিল করার আবেদন করেছিলেন। আদালতের কাছে তাঁদের যুক্তি ছিল, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কারণে ট্রাম্প বিচারের আওতামুক্ত। তা ছাড়া ট্রাম্পই এখন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। যদি তাঁর মাথার ওপর এ মামলা ঝুলে থাকে, তবে তাঁর সরকার পরিচালনার কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি শপথ গ্রহণ করবেন।
এই মামলায় ট্রাম্পের সাজা ঘোষণার তারিখ ছিল গত ২৬ নভেম্বর। কিন্তু গত ৫ নভেম্বরের ভোটে ট্রাম্প জিতে যাওয়ায় বিচারপতি হুয়ান মার্চান সাজা ঘোষণার তারিখ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিয়েছিলেন।
গতকাল ৪১ পাতার আদেশে বিচারপতি মার্চান বলেন, ‘ট্রাম্প সন্দেহাতীতভাবে ব্যক্তিগত কারণে ব্যবসায়িক নথি জালিয়াতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ কারণে এই মামলার বিচারকাজ তাঁর কার্যনির্বাহী কর্তৃত্ব এবং সেটির বাস্তবায়নের ওপর কোনো হুমকি তৈরি করবে না।’
এ রায়ের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাম্পের আইনজীবীদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রয়টার্স