অ্যামেরিকায় আসছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৯ শ্বেতাঙ্গ

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১২ মে ২০২৫, ১৩:২১

দক্ষিণ আফ্রিকার এসব নাগরিককে শরণার্থীর মর্যাদা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। স্টেইট ডিপার্টমেন্ট অ্যামেরিকায় তাদের আনার দায়িত্বে আছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের ও.আর. ট্যাম্বু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রবিবার অ্যামেরিকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গদের ৪৯ জনের একটি দল।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শরণার্থী কর্মসূচির আওতায় প্রথম স্থানান্তরের ঘটনা এটি।
দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহন বিভাগের মুখপাত্র জানান, শ্বেতাঙ্গদের দলটিকে বহনকারী বিমান ভার্জিনিয়ার ওয়াশিংটন ডালস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখান থেকে ৪৯ জনকে নেওয়া হবে টেক্সাসে।
দক্ষিণ আফ্রিকার এসব নাগরিককে শরণার্থীর মর্যাদা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। স্টেইট ডিপার্টমেন্ট অ্যামেরিকায় তাদের আনার দায়িত্বে আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রয়টার্সের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি স্টেইট ডিপার্টমেন্ট।
জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিবাসীদের ওপর বড় পরিসরে কঠোর পদক্ষেপ নেন ট্রাম্প।
তিনি শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ওপর অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাদেশ দেন। কাছাকাছি আরেকটি নির্বাহী আদেশে রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট বলেন,অ্যামেরিকা শুধু তাদেরই শরণার্থী হিসেবে নেবে, যারা ‘পুরোপুরি ও যথাযথভাবে’ অঙ্গীভূত হতে পারবে।
শরণার্থী গ্রহণ কর্মসূচিতে বড় ধরনের স্থবিরতা আনা ট্রাম্প ফেব্রুয়ারিতে আফ্রিকানারদের অ্যামেরিকায় নিয়ে আসার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাচ বসতি স্থাপনকারীদের উত্তরসূরি শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানাররা। তারা অন্যায্য বর্ণবৈষম্যের শিকার বলে দাবি করেন ট্রাম্প।
সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গরা দক্ষিণ আফ্রিকায় বৈষম্যের শিকার—এমন একটি দাবি গত কয়েক বছর ধরে করে আসছেন কট্টর ডানপন্থিরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ট্রাম্পের শ্বেতাঙ্গ মিত্র ইলন মাস্কও একই দাবি করেছেন।
আন্তর্জাতিক জার্নাল রিভিউ অব পলিটিক্যাল ইকোনমির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকায় গড়পরতা কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারগুলোর তুলনায় একই ধরনের শ্বেতাঙ্গ পরিবারের আয় ২০ গুণ বেশি।