ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা সমন্বয়ের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ন্যাটোর হাতে হস্তান্তর

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪

ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক সহায়তা সমন্বয়ের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ন্যাটোর হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
সামরিক সহায়তা সমন্বয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় এখন ন্যাটো ইউক্রেন যুদ্ধে আরও বেশি প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর তা কতটা ফলপ্রসূ হবে, সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলে মনে করেন কূটনীতিকেরা।
ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করবেন। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে কীভাবে করবেন, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ইউক্রেনকে এত বেশি সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোরবিরোধী।
ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমাদের সামরিক সহায়তা সমন্বয়ের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ন্যাটোর হাতে দেওয়ার পরিকল্পনা আগেই করা হয়েছিল। কয়েক মাস আগেই দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা ছিল, কিন্তু কেন বিলম্ব হলো, তা জানা যায়নি।
ন্যাটোর ইউক্রেন যুদ্ধবিষয়ক নতুন মিশন জার্মানির উইসবাডেন শহরের মার্কিন ঘাঁটি ক্লে ব্যারাকসে অবস্থিত। মিশনটির আনুষ্ঠানিক নাম ন্যাটো সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড ট্রেনিং ফর ইউক্রেন (নেসাতু)।
ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা সমন্বয়ের দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পর্কে জানেন এমন এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, নেসাতু পুরোদমে কাজ শুরু করেছে।
ইউক্রেনের সামরিক সহায়তার দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি বেলজিয়ামে অবস্থিত ন্যাটোর সদর দপ্তর সুপ্রিম হেডকোয়ার্টার অ্যালাইড পাওয়ারস ইউরোপ (শেপ) নিশ্চিত করেছে। শেপ বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিতে শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তা ও সুপ্রিম অ্যালাইড কমান্ডার ইউরোপ জেনারেল ক্রিস্টোফার জি ক্যাভোলি বলেছেন, ইউক্রেনকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে রাখার পরিকল্পনা থেকেই নেসাতু গঠন করা হয়েছে।... আজ (মঙ্গলবার) ইউক্রেনের জন্য একটি ভালো দিন, ন্যাটোর জন্যও আজকের দিনটি ভালো।’

নেসাতুর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন প্রায় ৫০টি দেশের একটি অ্যাডহক জোট ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা সমন্বয় করত, যা রামস্টেইন গ্রুপ নামে পরিচিত। রামস্টেইন জার্মানিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটি। এ নামেই অ্যাডহক জোটটির নাম রাখা হয়েছিল। কারণ, তারা যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক ঘাঁটিতেই প্রথম বৈঠক করেছিল।

রয়টার্স