ইলন মাস্ক কি কোনো দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন, এই প্রশ্নের জবাবে গতকাল রোববার নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছেন, ‘না।’ এ ক্ষেত্রে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার নিয়ম স্মরণ করিয়ে দেন।
অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনেক্সে অনুষ্ঠিত রিপাবলিকান দলের একটি সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে পারি যে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।’ টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্কের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। তাঁর সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা জানেন তিনি কেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। কারণ, তিনি এই দেশে জন্মগ্রহণ করেননি।’ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে হলে জন্মসূত্রে সে দেশের নাগরিক হতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে ব্যাপক প্রভাবের কারণে ইলন মাস্ককে ‘প্রেসিডেন্ট মাস্ক’ বলে কটাক্ষ ও সমালোচনা করছে ডেমোক্রেটিক পার্টি। এই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাস্কের কাছে প্রেসিডেন্ট পদ হস্তান্তরের বিষয়ে ট্রাম্প উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘না, এমনটি ঘটছে না।’ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর ইলন মাস্কের প্রভাব ডেমোক্র্যাটদের আক্রমণের মূল হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। একজন অনির্বাচিত নাগরিক কীভাবে এত বেশি ক্ষমতার অধিকারী হতে পারেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে ইলন মাস্কের প্রভাবে একটি সরকারি তহবিল প্রস্তাবও বাতিল হয়ে গেছে। এ কারণে খোদ রিপাবলিকানদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই তহবিলের বিপক্ষে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্টের ঝড় বইয়ে দিয়েছেন মাস্ক। যদিও এসব পোস্টের বেশির ভাগই ছিল অসত্য। এক্সে ইলন মাক্সের ২০ কোটির বেশি অনুসারী রয়েছে।