কংগ্রেসে সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া রিপাবলিকান সদস্যরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বলে মনে করেন সাবেক রিপাবিলিকান কৌশলবিদ ম্যাথিউ ডাউড। মঙ্গলবার এমএসএনবিসি’কে একথা জানান তিনি। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আগামী প্রশাসনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এনবিসি নিউযের সিনিয়র রাজনৈতিক প্রতিবেদক জনাথন অ্যালেন জানান, সুযি ওয়াইলযের মতো নেতৃত্বে হোয়াইট হাউযের কর্মকর্তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন বলে ধরে নেয়া যায়।
ওয়াইলযকে জেনে বুঝেই হোয়াইট হাউযের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে ট্রাম্প মনোনয়ন দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। ইলন মাস্ক এবং ভিভেক রামাসোয়ামির মতো প্রভাবশালীদের কারণে সুযি ওয়াইলয চাপের মধ্যে থাকবেন বলেও মনে করেন অ্যালেন। তিনি আশা করেন, সবকিছুর মধ্যেও সুযি ওয়াইলয তার দায়িত্ব বিষয়ে অবিচল থাকবেন।
এদিকে কংগ্রেসে সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া রিপাবলিকানরা আইনপ্রণয়নে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বলে মনে করেন সাবেক রিপাবলিকান কৌশলবিদ ম্যাথিউ ডাউড। ডাউড ধারণা করছেন, হাউয এবং সেনেটে যেকোন প্রস্তাব পাশ বা সংশোধনে ডেমোক্র্যাটদের সহযোগীতা নেয়া বিষয়ে রিপাবলিকানরা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়বেন।
আগামী প্রশাসনের শুরু থেকেই ট্রাম্পকে নির্বাহী আদেশের দিকে ঝুঁকতে হবে উল্লেখ করে ম্যাথিউ ডাউড বলেন, ‘নির্বাহী আদেশের বাইরে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা কোনো আইনের আমূল পরিবর্তন আনতে পারবেন না।’
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশের নারী ভোটারদের মধ্যে যে ধরণের ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছিলো তা আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন দ্য নাইন্টিন্থ-এর এডিটর এরিন হাইনস। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট পদে কামালা হ্যারিস পরাজিত হলেও কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে দারুণ প্রভাব ফেলেছেন। আর আশা, গর্ভপাতের অধিকারসহ অন্যান্য বিষয়ে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের সাথে শ্বেতাঙ্গ নারীরাও একজোট হবেন।
অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা আগামী বছরগুলোতে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ এবং দ্বিদলীয় সমঝোতার ভিত্তিতে কংগ্রেসে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করেন ডেমোক্র্যাট কৌশলবিদ ডন ক্যালোওয়ে। ক্যালোওয়ে জানান, ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডেমোক্র্যাটদের সহযোগিতা জরুরী হয়ে উঠবে। আগামী বছরগুলোতে ডেমোক্র্যাটদের কাজের পরিসর বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।