নিউইয়র্কে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি 

প্রকাশ্য দিবালোকে দুই বাংলাদেশী হামলার শিকার

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩৪

নিউইয়র্কে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। সাবওয়ে থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাটে প্রকাশ্য দিবালোকে হামলার ঘটনা ঘটছে। অন্যান্য এলাকার মতো বাংলাদেশী অধ্যুষিত ওজনপার্কেও হামলার ঘটনা বাড়ছে। সম্প্রতি দুই বাংলাদেশী স্থানীয় সাবওয়ে ও হাইওয়েতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির আকস্মিক হামলার শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় কমিউনিটিতে উদ্বেগ-আতঙ্ক বাড়ছে। জন নিরাপত্তায় সিটি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।
সুলতান মাহিন। গ্রেড টেনের স্টুডেন্ট। পড়ছে কুইন্স ফর ইনফরমেসন রিসার্চ এন্ড টেকনোলজি হাই স্কুলে। প্রতিদিনের মতো গত ১০ জানুয়ারী শুক্রবার সকাল ৮:১৫ মিনিটে ওজনপার্কের ৮৮ স্ট্রিট ব্রডওয়ে থেকে ট্রেনে যাচ্ছিলেন তার স্কুলে। প্রতিমধ্যে ট্রেনের ভেতরে অন্য বগী থেকে আসা একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রথমে ট্রেনে ভিতরে চিৎকার করে এবং কিছুক্ষণ পরে তার দিকে এগিয়ে এসে তাকে মারধর শুরু করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে ট্রেনের চেয়ারের স্টিলের হাতলের উপরে তার মাথার উপর আঘাত করে। মাহিন বাঁচার জন্য দৌড় দিয়ে অন্য বগির ভিতর চলে গেলে পরে যাত্রীদের সহায়তায় পরের স্টেশনে নেমে পুলিশ কল করে। ততক্ষণে মাইনের অবস্থা গুরুতর হলে পুলিশের সহায়তায় অ্যাম্বুলেন্স এর মাধ্যমে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। শনিবার (১১ জানুয়ারী) এই প্রতিবেদকের কাছে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন মাহিন এবং তার পরিবার।
আবুল কালাম আজাদ থাকেন ওজনপার্ক সংলগ্ন ইউক্লিড ব্রডওয়ের কাছে। যাতায়াত করেন সাইকেলে। কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে নিউলডস সিগনালে অপেক্ষা করেন। সিগন্যালে সবুজ বাতি জ্বলে উঠার আগেই তার পাশ থেকে দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট কার গাড়ি তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হসপিটালে প্রেরণ করে। তার চোখের নিচে প্রায় সাত থেকে আটটি সেলাই এবং সারা শরীর জখম হয়।
বর্তমানে সাবওয়ে এবং হাইওয়েতে এমন দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে দুশ্চিন্তা এবং আতঙ্ক। কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এমন ঘটনা ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে সিটিবাসীদের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশীদের উপর হামলার ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য নিউইয়র্ক প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।