প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সম্প্রতি একটি নীতি পরিবর্তন করেছে, যা ফেডারেল অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে চার্চ, স্কুল এবং হাসপাতালের মতো সংবেদনশীল স্থানে গ্রেপ্তার ও কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিবে, যা আগে নিষিদ্ধ ছিল। অ্যাক্টিং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি বেঞ্জামিন হাফম্যান একটি বিবৃতিতে দুটি নির্দেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন, যার ফলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এবং অভিবাসীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসার একটি আইনি পথ বন্ধ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে 'অপরাধীরা আর আমেরিকার স্কুল ও গির্জায় লুকিয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে পারবে না। ট্রাম্প প্রশাসন আমাদের সাহসী আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের হাত বাঁধবে না, বরং তাদের সাধারণ বুদ্ধি ব্যবহারের উপর আস্থা রাখবে।'
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ, যা দেখায় নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে আইন প্রয়োগের ধরন কীভাবে বাইডেন প্রশাসনের থেকে আলাদা হবে।
ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) ২০১১ সালে একটি নীতি তৈরি করেছিল, যা এজেন্টদের সংবেদনশীল স্থান যেমন স্কুল, চার্চ এবং হাসপাতাল ইত্যাদিতে গ্রেপ্তার করা থেকে বিরত রাখত। বাইডেন প্রশাসনও অনুরূপ একটি নির্দেশনা জারি করেছিল।
তবে অভিবাসী পক্ষসমর্থকরা এই নীতি তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ তাদের মতে, এতে অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে এবং এর ফলে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার সাহস কমে যাবে, বা মানুষ হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে ভয় পাবে।
দ্বিতীয় নির্দেশে প্যারোল প্রোগ্রামের ফেজআউট(যার মাধ্যমে কোন কিছু ধীরে ধীরে বন্ধ করা হয়) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা অভিবাসীকে সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করার এবং কাজ করার অনুমতি দিত। রিপাবলিকানরা বারবার বলেছেন যে বাইডেন প্রশাসন এই প্যারোল প্রোগ্রামটি অপব্যবহার করেছে, যা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য প্রসারিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়নি কোন প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করা হবে, তবে বলা হয়েছে যে এটি "মামলা ভিত্তিক" করা হবে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন মানবিক প্যারোল প্রোগ্রামটির অপব্যবহার করে নির্বিচারে ১.৫ মিলিয়ন অভিবাসীকে আমাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দিনেই এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপটি মানবিক প্যারোল প্রোগ্রামটিকে তার মূল উদ্দেশ্যে ফিরিয়ে আনবে, যেখানে অভিবাসীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে পর্যালোচনা করা হবে।