মেক্সিকো সীমান্তে দেড় হাজার সৈন্য মোতায়েনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউস গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) এই আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, এই সৈন্যদের মধ্যে ৫০০ জন থাকবেন মেরিন সদস্য।
ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল সীমান্ত নিরাপত্তা। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি নির্বাহী আদেশে সই করে মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৮ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ফিরিয়ে নিচ্ছে ভারত
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল, সংবিধানের বিপরীতে হাঁটছেন ট্রাম্প
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে সই ট্রাম্পের
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়, আমেরিকার সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। অনিয়মিত অভিবাসনের কারণে দেশে বিশৃঙ্খলা ও ভোগান্তি বেড়েছে।
আদেশে সীমান্তে সশস্ত্র বাহিনীর মোতায়েন এবং ড্রোন ব্যবহারসহ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে এই মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিল।
বর্তমানে মেক্সিকো সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন ন্যাশনাল গার্ড ও রিজার্ভ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া, মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের প্রায় ১৯ হাজার ১০৪ জন কর্মকর্তা সীমান্ত পাহারায় নিযুক্ত রয়েছেন।
অভিবাসন অধিকার কর্মীরা আশঙ্কা করছেন, সীমান্তে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি শরণার্থীদের বৈধ আশ্রয়ের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাছাড়া, বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে সামরিক কৌশল ব্যবহারেরও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন, অনিয়মিত অভিবাসী প্রবেশ ঠেকাতে সামরিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। যদিও গবেষণায় দেখা গেছে, অনথিভুক্ত অভিবাসীদের অপরাধ প্রবণতা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয়দের তুলনায় অনেক কম।
সম্প্রতি জর্জিয়ায় ল্যাকেন রাইলি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ট্রাম্প তার অবস্থান জোরদার করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ‘ল্যাকেন রাইলি অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইনে, অপরাধে অভিযুক্ত অনথিভুক্ত অভিবাসীদের আটক রাখার নিয়ম করা হয়েছে। যদিও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই আইনকে ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা