সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এখন তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামার সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছেন। তিনি বলছেন, মাঝে হারানো সময়টাকে পুষিয়ে নিতে তিনি মিশেলকে আগের চেয়ে বেশি সময় দিচ্ছেন।
হ্যামিলটন কলেজের প্রেসিডেন্ট স্টিভেন টেপারের সঙ্গে কথোপকথনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন ৬৩ বছর বয়সী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি স্বীকার করেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে দুই মেয়াদ কাটানোর সময় মিশেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্কে গভীর ঘাটতি ছিল। সুতরাং এই যে আমাদের ছেদ পড়েছে, সেটা পূরণ করতে আমরা মাঝেমধ্যে নানা ধরনের আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করছি।’
নিজেদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে ওবামা ও মিশেল আগেও প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তাঁদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে।
বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামার দাম্পত্য জীবন প্রায় ৩৩ বছরের। এর আগে বারাক ওবামা বলেছিলেন, হোয়াইট হাউস থেকে তিনি বেরিয়ে আসার পর মিশেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।
২০২৩ সালে সিবিএস মর্নিং অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেছিলেন, ‘আমি বলতে পারি যে হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে আসাটা এ কাজে বেশ সহায়তা করেছে এবং তাঁর সঙ্গে আরেকটু বেশি সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছি।’
এর আগে মিশেল ওবামা তাঁর স্বামীর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বের প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে এমন একটা দশক ছিল, যখন তিনি তাঁর স্বামীর পাশে দাঁড়াতে পারেননি।
মিশেল রিভোল্ট টিভিকে বলেছিলেন, ‘মানুষ মনে করে, আমি এমনটা বলে হিংসুটে হিসেবে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি যে আমি ১০ বছর আমার স্বামীর পাশে দাঁড়াতে পারিনি। ভাবুন তো, এই পরিস্থিতিটা কখন এসেছিল। তখন আমাদের বাচ্চারা ছিল ছোট।’
মিশেল ওবামা ২০১৮ সালে এমন কথাও প্রকাশ করছিলেন, তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কাজ করতে তাঁরা দুজন একবার বিয়ে–সংক্রান্ত পরামর্শকের কাছেও গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে এমনও সময় এসেছে, তখন তিনি চাইতেন সবকিছু আলাদা হোক। তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি মনে করি না, আমি কখনো ভেবেছি। আমি কেবল এটি যাচাই-বাছাই করে দেখছি।’
বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা ১৯৯২ সালে বিয়ে করেন। ১৯৮০–এর দশকের শেষের দিকে একটি আইনি প্রতিষ্ঠানে প্রথম তাঁদের সাক্ষাৎ হয়। সেখানে দুজন একসঙ্গে করেছিলেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের নাম সাশা ও মালিয়া।
এনডিটিভি