নিউ ইয়র্ক সিটির ডেমোক্র্যাটিক মেয়োরাল প্রাইমারিতে বিজয় 

ডনাল্ড ট্রাম্পের আক্রোশে পড়েছেন যোহরান মামদানি!

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৬ জুন ২০২৫, ১৩:২৪

নিউ ইয়র্ক সিটির ডেমোক্র্যাটিক মেয়োরাল প্রাইমারিতে, অ্যান্ড্রিউ কুওমোর বিরুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আক্রোশে পড়েছেন যোহরান মামদানি। বুধবার সামাজিক মাধ্যমে মামদানিকে ‘উন্মাদ কমিউনিস্ট’ ডেকে প্রেসিডেন্ট বলেন, এই প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সীমা লঙ্ঘন করেছে ডেমোক্র্যাটরা।
২০২১ সালে যৌন হয়রানির অভিযোগে নিউ ইয়র্ক স্টেইটের গভর্নর পদ থেকে পদত্যাগের পর, রাজনীতিতে নিজের অবস্থান আবার শক্ত করতে চেয়েছিলেন অ্যান্ড্রিউ কুওমো। তবে এক মুসলিম বামপন্থী তরুণের কাছে হার মানলেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। নিউ ইয়র্ক সিটির ডেমোক্র্যাটিক মেয়োরাল প্রাইমারিতে বিজয় ছিনিয়ে এনে, মেয়র হওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন যোহরান মামদানি। কিন্তু তা নিয়ে একেবারেই খুশি নন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার সামাজিক মাধ্যমে মামদানিকে উন্মাদ কমিউনিস্ট ও মূর্খ ডেকে প্রেসিডেন্ট বলেন, এই প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সীমা লঙ্ঘন করেছে ডেমোক্র্যাটরা। মামদানির চেহারা ও কন্ঠেরও কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প। বিদ্রুপ করে বলেন, ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে মামদানির বিজয়।
এই প্রসঙ্গে মন্তব্যে, বর্তমান মেয়র এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এরিক অ্যাডামস সিবিএস নিউযকে বলেন, স্টেইট আসেম্বলিম্যান হিসেবে মামদানি হয়তো সফল ছিলেন, কিন্তু মেয়রের দায়িত্ব পালন করার মতো দাপ্তরিক অভিজ্ঞতা তার নেই। বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়া শহজ, কিন্তু পূরণ করা কঠিন বলে বলে জানান অ্যাডামস।
শহরের শীর্ষ এক শতাংশ সম্পদশালী মানুষের ওপর কর বাড়িয়ে, পিছিয়ে পড়া নগরবাসীদের সহায়তা দেবেন বলে পরিকল্পনা নিয়েছেন মামদানি। তবে কর বাড়ানোর কোনও এখতিয়ার মেয়রের নেই বলে মনে করিয়ে দেন অ্যাডামস।
নিউ ইয়র্ক সিটির ডেমোক্র্যাটিক মেয়োরাল প্রাইমারি নির্বাচনে মামদানির বিজয়ের পেছনে শহরের খেটে খাওয়া মানুষ ও তরুণ উচ্চ শিক্ষিত ভোটারদের অকুণ্ঠ সমর্থন ছিলো বলে জানিয়েছেন এনবিসি নিউযের বিশ্লেষক স্টিভ কর্ন্যাকি। তিনি আরো বলেন, কুওমোর পরাজয়, তার প্রতি মানুষের চরম আস্থাহীনতাই প্রমাণ করে।
নিউ ইয়র্ক সিটিতে নিত্যপন্যের মূল্য এবং বাড়িভাড়া আবার সাধারণ মানুষের নাগালে ফেরত নিয়ে আসবেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের মন জয় করে নিয়েছেন মামদানি। এই বিজয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে আশার আলো দেখানোর পাশাপাশি, তাদের রাজনীতিতে কৌশলগত পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।