যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক জন র্যাটক্লিফ বলেছেন, মার্কিন হামলা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং বছরের পর বছর পিছিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হয়েছে, যদিও তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা হয়েছে বলে ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
এর আগে পেন্টাগনের একটি গোয়েন্দা সংস্থার ফাঁস হওয়া প্রাথমিক মূল্যায়ণে বলা হয়, মার্কিন বোমা হামলার পরেও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল উপাদানগুলো অক্ষত আছে। এরপরও হোয়াইট হাউজ আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করছে, ওই হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে’ এবং একে ‘অতুলনীয় সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করছে।
এখন সেই রিপোর্ট ফাঁস করা ব্যক্তিকে মরিয়া হয়ে খুঁজছে হোয়াইট হাউজ। বিবিসি পার্সিয়ান সার্ভিস জানিয়েছে, বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ পেন্টাগনে অভ্যন্তরীণ তদন্তের ঘোষণা দেন এবং জানান যে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এ নিয়ে স্বাধীনভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
একই সময়ে অত্যন্ত গোপন তথ্যের ওপর কংগ্রেস সদস্যদের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে হোয়াইট হাউজ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।
এই খবর প্রকাশের পরপরই কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এই পদক্ষেপ নেওয়ার আগে অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার যে কীভাবে ইরানে বিমান হামলা সংক্রান্ত প্রাথমিক মূল্যায়ন রিপোর্টটি ফাঁস হয়েছে।