যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক দেশটির এক ফেডারেল আদালতের দেওয়া আদেশের তীব্র সমালোচনা করেছেন। আদেশে আদালত বিভিন্ন দেশের আমদানি পণ্যের ওপর ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক স্থগিত করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আদালতের ওই আদেশকে ‘ভয়ানক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের উচিত দ্রুত ও দৃঢ়ভাবে এ আদেশ বাতিল করা।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘গোপন চক্রান্তকারীদের আমাদের দেশকে ধ্বংস করার সুযোগ দেওয়া যাবে না।’ তিনি নিজেই ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারব্যবস্থার শিকার বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে সরকারি এক আবেদনের পর গতকাল আদালতের ওই আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
গত বুধবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক নিউইয়র্কের ওই ফেডারেল আদালত বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক স্থগিত করে আদেশ জারি করেন। দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।
আদালতের তিনজন বিচারকের একটি প্যানেল আদেশে বলেন, প্রেসিডেন্ট শুল্ককে চাপ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কতটা বিচক্ষণতা দেখিয়েছেন বা তা কতটা কার্যকর হবে, এ বিষয়ে আদালত কোনো মন্তব্য করছেন না। (ক্ষমতার) এ ধরনের ব্যবহার অননুমোদিত। এর কারণ তা অযৌক্তিক বা অকার্যকর বলে নয়, বরং এটি ফেডারেল আইন অনুমোদন দেয় না।
চূড়ান্ত পর্যায়ে আদালতের এ আদেশ কার্যকর হলে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি একটি বড় ধাক্কা খাবে। তিনি উচ্চ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বাণিজ্যিক অংশীদারদের কাছ থেকে ছাড় আদায় করতে চাইছেন। সেই সঙ্গে উৎপাদন খাতের চাকরি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা এবং দেশের ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যঘাটতি কমানো তাঁর উদ্দেশ্য। নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এগুলো তার অন্যতম।
এএফপি