মিডটাউন ম্যানহাটনের একটি অফিস ভবনে সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে শেন ট্যামুরা নামে ২৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তি। এ হামলায় নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-এনওয়াইপিডির বাংলাদেশি এক কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
ভবনটিতে বেসরকারি ইকুইটি জায়ান্ট ব্ল্যাকস্টোন এবং ন্যাশনাল ফুটবল লীগ (এনএফএল) সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু আর্থিক সংস্থা রয়েছে।
হামলাকারী শেন ট্যামুরা হাওয়াইয়ের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে তিনি লাস ভেগাসে চলে আসেন। নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্যামুরা লাস ভেগাসের একটি ক্যাসিনোতে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন।
ট্যামুরার ছবি সম্বলিত একটি পরিচয়পত্র সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, তার কাছে একটি গোপন আগ্নেয়াস্ত্রের পারমিট ছিল। ২০২২ তারিখে ১৪ জুন ইস্যু করা এই পারমিট পাঁচ বছরের জন্য বৈধ ছিল।
২০১৫ সালের একটি ভিডিও থেকে জানা যায় শেন ট্যামুরা গ্রানাডা হিলসের হয়ে ফুটবল খেলতেন। ভাইরাল একটি পুরনো ভিডিওতে তাকে নিজের ফুটবল দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে কথা বলতে দেখা গেছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, কর্মকর্তারা হামলায় ব্যবহার হওয়া ট্যামুরার রাইফেল উদ্ধার করেছেন। পালমেটো স্টেট আর্মোরি এআর-১৫ অ্যাসল্ট রাইফেলটি রক্তে মাখা ছিল।
ঘটনাস্থলে ট্যামুরার নামে নেভাদার নম্বর প্লেটযুক্ত একটি গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গাড়ির ভেতরে পুলিশ একটি রাইফেলের কেস, একটি লোডেড রিভলবার, গুলি এবং ম্যাগাজিন, একটি ব্যাকপ্যাক এবং ট্যামুরার ওষুধের প্রেসক্রিপশন খুঁজে পেয়েছে। বোম স্কোয়াড গাড়িটি তল্লাশি চালিয়েছে। গাড়িটিতে কোন বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ট্যামুরার মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ইতিহাস রয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে ট্যামুরা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।