আমেরিকায় অভিবাসন সংক্রান্ত পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল ও সংবেদনশীল হয়ে উঠছে। ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ এবং নতুন আইন ও নীতি অভিবাসী, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ইউএসসি, আইএস, এবং অন্যান্য অভিবাসন সংস্থাগুলো বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ চালু করেছে। যা নাগরিকত্ব, ভিসা, পরিবার পুনর্মিলন এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে।
ইউএসসিআইএস সম্প্রতি ঘোষণা করেছে তারা একটি সশস্ত্র আইন প্রয়োগ ইউনিট গঠন করবে। এর ফলে এজেন্টরা অভিবাসী প্রার্থীদের এবং তাদের আইনজীবীদের প্রতারণা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্ত ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে।
নতুন এই ইউনিটে মোট ২০০ জন এজেন্ট নিয়োগ করা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি অভিবাসন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
এদিকে ইউএসসি আইএস ডিরেক্টর জোসেফ এডলো জানান, নাগরিকত্ব পরীক্ষা আরো কঠোর ও জটিল করা হতে পারে। এতে প্রার্থীদেরকে সংবিধান, নাগরিক কর্তব্য এবং ইংলিশ ভাষায় দক্ষতা আরো গভীরভাবে যাচাই করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন পরীক্ষায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া, সিভিল এবং ইতিহাস সম্পর্কিত জ্ঞান পরীক্ষা এবং সম্ভাব্য ইংরেজি লিখিত বা মৌখিক দক্ষতার মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তাবিত ভিসা নীতি অনুযায়ী এফ এবং জে ভিসা শিক্ষার্থীদের স্থায়ী নয় বরং নির্দিষ্ট মেয়াদ দেওয়া হবে। যেমন চার বছর। এই পরিবর্তনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি কম হতে পারে এবং প্রশাসনিক জটিলতা বেড়ে যাবে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই পরিবর্তনের কারণে অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন।
অ্যার্টনি জেনারেল প্যাম বন্ডি নারীদের জন্য পূর্বের সহজ আশ্রয় প্রক্রিয়া কঠোর করেছেন। ডোমেস্টিক এবিউজ বা গ্যাং সহিংসতা থেকে পালানো নারীরা এখন সহজে আশ্রয় নিতে পারছেন না।
আগস্ট থেকে ইউএসসিআইএস পরিবার ভিত্তিক ভিসা আবেদন যাচাই আরো কঠোর ও সতর্কভাবে করছে। এতে আবেদনকারীদের সম্পর্ক এবং আইনি প্রমাণ যাচাই করা হয় যাতে প্রতারণা রোধ করা যায়।