অর্থ সংগ্রহে রেকর্ড, প্রচারণায়মামদানি

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৩২

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে দুই মাস পর। এরই মধ্যে প্রচারণা তুঙ্গে। আর এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি তহবিল সংগ্রহে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। তার প্রচারণা শিবির জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যয়ের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা—৮০ লাখ ডলার—তারা সংগ্রহ করেছে।
শুক্রবার সকালে একটি ভিডিওবার্তায় মামদানি বলেন, “আমরা আর কারও অর্থ গ্রহণ করতে পারব না। সত্যিই আপনারা এখন থামুন। যদি সাহায্য করতে চান, তবে অর্থ নয়, সময় দিন। প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত হোন।”
নিউইয়র্কের কুইন্স থেকে আসা এই তরুণ রাজনীতিকের পক্ষে ছোট অঙ্কের দাতাদের বিপুল সাড়া মিলেছে। তার নির্বাচনী শিবির বলছে, শহরের বিভিন্ন মহল্লা থেকে তরুণ-তরুণী, অভিবাসী ও কর্মজীবী শ্রেণির মানুষ কয়েক ডলার থেকে শুরু করে সামান্য অঙ্কের অনুদান দিয়ে তাকে সমর্থন জানাচ্ছেন। এতে তার জনপ্রিয়তা ও জনভিত্তি আরও সুসংহত হয়েছে বলে দাবি করছে প্রচারণা দল।
তবে মামদানির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পক্ষে গঠিত সুপার প্যাকগুলো। এ ধরনের স্বতন্ত্র তহবিল সংগ্রাহক কমিটিগুলো আইনত সীমাহীন অর্থ সংগ্রহ ও ব্যয় করতে পারে। ইতিমধ্যেই তাঁকে হারাতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য এসব কমিটি লাখ লাখ ডলার ব্যয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে নির্বাচনী মাঠে বিজ্ঞাপন ও প্রচারণায় মামদানিকে বড় চাপে ফেলতে পারে।
অন্যদিকে, তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু এম. কুয়োমো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। সর্বশেষ তথ্যমতে, তার তহবিলে রয়েছে প্রায় ১৫ লাখ ডলার। ফলে প্রচারণা জোরদার করতে তাকে এখন আরও অর্থ সংগ্রহে মনোযোগী হতে হচ্ছে। কুয়োমো ছাড়াও আরও কয়েকজন প্রার্থী রয়েছেন, তবে জনমত জরিপে তারা মামদানির অনেক পিছিয়ে।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, মামদানি এগিয়ে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে। তার প্রচারণা শিবির বলছে, অভিবাসী সম্প্রদায়, প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট এবং তরুণ ভোটারদের মধ্যে তিনি ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে প্রতিদ্বন্দ্বীদের আক্রমণাত্মক প্রচারণা এবং বড় অঙ্কের বিজ্ঞাপন ব্যয় পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে।
আগামী নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন নিউইয়র্ক সিটি জুড়ে তুমুল প্রচারণা শুরু হয়েছে। জনসভা, টাউন হল বৈঠক থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিদিনই পাল্টাপাল্টি বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করবে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী শহরটির নেতৃত্ব কার হাতে যাবে।