জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগামীকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এবারের অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘একসঙ্গে ভালো: শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের পথে ৮০ বছর ও আরও বেশি।’
অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আনালেনা বেয়ারবক। উদ্বোধনী দিনে সভাপতির ভাষণের পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস শান্তি, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন।
এবারের আলোচনায় প্রাধান্য পাবে চলমান বৈশ্বিক সংঘাত—বিশেষ করে ইউক্রেন সংকট, ফিলিস্তিনের যুদ্ধ পরিস্থিতি ও মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা। একইসঙ্গে দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাস, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণ সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে করণীয় বিষয় নিয়েও প্রস্তাব আসতে পারে।
অধিবেশনের মূল উচ্চপর্যায়ের বৈঠক চলবে একটানা সাত দিন—২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়েই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা সাধারণ বিতর্কে অংশ নেবেন। প্রথম দিন ব্রাজিল বক্তব্য রাখবে, এরপর যুক্তরাষ্ট্র।
প্রকাশিত প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী—২৪ সেপ্টেম্বর জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ অধিবেশন ও ২৬ সেপ্টেম্বর পারমাণবিক অস্ত্র পুরোপুরি বিলুপ্তির আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর একই দিনে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই অধিবেশনে ইসরাইল ও চীন-এর পক্ষ থেকেও বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা নিজেদের জাতীয় স্বার্থ, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৌশল এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার তুলে ধরবেন। বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এ অধিবেশন বিশ্ব কূটনীতিতে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।